পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার প্রস্তাব নিয়ে ফের সরব হয়েছে রাজ্য বিধানসভা। গতকাল (মঙ্গলবার) সংসদের জিরো আওয়ারে বিষয়টি রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার বিষয়ে ২০১৮ সালে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হয়। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখনও বিষয়টির অনুমোদন দেয়নি।
গতকাল ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন রাজ্যের ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের দিকটি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ দ্রুত বিষয়টিতে সবুজ সংকেত দেওয়া।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় ২০ ১৮ সালেই সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যের নাম পরিবর্তন শুধু একটি প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়, এটি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা। বাংলার ইতিহাস,ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির দিকে লক্ষ্য রেখেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ কেন্দ্রের।
তিরি আরও বলেন, বাংলা নামটি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত, এবং এটি আমাদের ভাষা ও ইতিহাসের অনুসারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন এর আগে একাধিকবার। তিনি উল্লেখ করেছেন বাংলা নামকরণটি রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, পাশাপাশি বাংলার মানুষের ইচ্ছেকেও সম্মান জানানো হবে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা এবং দেশভাগের পরে ভারতীয় অংশের নাম ছিল পশ্চিমবঙ্গ, এবং পূর্ব অংশটি পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়। এখন কোনো পূর্ব পাকিস্তান নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গ নাম থাকার কোনো কারণ নেই।
২০১১ সালে ওডিশা রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে ভারত। এ ছাড়া দেশটির একাধিক শহরেরও নাম পরিবর্তন হয়েছে। যেমন : বোম্বাই হয়েছে মুম্বাই, মাদ্রাজ চেন্নাই, ক্যালকাটা থেকে কলকাতা এবং ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালোরের নাম বদলে করা হয় বেঙ্গালুরু।