
আইএসএলের সূচনায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সবাইকে চমকে দিলেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় তারা। ফলে ধীরে ধীরে দল পিছিয়ে পড়ে এবং সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খোয়ানোয় চাপে পড়ে যায় মহামেডান শিবির। ধাক্কা সামলাতে না পেরে একসময় লিগ টেবিলের তলানিতে নেমে আসে তারা। সুপার সিক্সের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও দলের ফুটবলারদের লক্ষ্য ছিল বাকি ম্যাচগুলোতে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া।
এই লক্ষ্য নিয়েই সোমবার আইএসএলের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ ছিল পাঞ্জাব এফসি, যাদের কোচিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিস। ম্যাচের প্রথম ভাগে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও, হার মানেনি মহামেডান। ফ্রাঙ্কাদের নেতৃত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তন করে দল, বিশেষ করে মার্ক আন্দ্রে শ্মেরবক ও রবি হাঁসদার মাঠে আসার পর খেলায় নাটকীয় মোড় আসে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের গোলেই ২-২ সমতায় ম্যাচ শেষ করতে সক্ষম হয় মহামেডান।
দলের এই লড়াইয়ে খুশি কোচ মেহরাজুদ্দিন ওয়াডু। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “সিজনের শুরুতে আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আমাদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। তবে ফুটবলাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, যদিও প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। কিন্তু আজ ছেলেরা যেভাবে দুই গোল পিছিয়ে থেকেও ফিরে এসে লড়াই করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে বিকাশ সিং ও রবি হাঁসদার মাঠে নামার পর আমাদের উইং খেলা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, যা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দুই গোল শোধ করার পরও আমরা আরও কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় জয়সূচক গোল আসেনি। আশা করি, আইএসএলের পর সুপার কাপে ছেলেরা নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেবে এবং ভালো ফল নিয়ে আসবে।”
মহামেডানের জন্য এই মৌসুমে বড় কোনো সাফল্য না এলেও শেষ ম্যাচে দলের লড়াই ফুটবলপ্রেমীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, সুপার কাপে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা।