আগ্রায় এক ব্লগারকে হাত-পা বেঁধে পাঁচতলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তার প্রাক্তন স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ব্লগারের নাম রিতিকা সিংহ। মূলত ফ্যাশন, খাবার এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করতেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আগরার তাজগঞ্জে একটি ফ্ল্যাটে লিভ ইন সঙ্গী বিপুলের সঙ্গে থাকতেন। তার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল রিতিকার।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা রিতিকার ২০১৪ সালে বিয়ে হয় ফিরোজাবাদের আকাশ গৌতমের সঙ্গে। তিন বছর পর ফিরোজাবাদেরই আরেক যুবক বিপুলের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। ২০১৮ সালে স্বামী আকাশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বিপুলের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতেন রিতিকা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুই নারীকে নিয়ে রিতিকার তাজগঞ্জের ফ্ল্যাটে আসেন প্রাক্তন স্বামী আকাশ। কারো যেন সন্দেহ না হয়, সে কারণে প্রথমে দুই নারীকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকতে বলেন আকাশ। অ্যাপার্টমেন্টের নাম-তালিকার খাতায় ভুল নাম লেখেন দুই নারী। রিতিকার ফ্ল্যাটের নম্বর ৪০৪। কিন্তু ওই দুই নারী লেখেন ৬০১ নম্বর ফ্ল্যাটে যাবেন।
আকাশ এবং ওই দুই নারী যখন রিতিকার ফ্ল্যাটে যান, বিপুল তখন ফ্ল্যাটেই ছিলেন। বিপুলের অভিযোগ, আকাশ এবং দুই নারী ঘরে ঢুকেই তাকে ও রিতিকাকে মারতে শুরু করেন। তারপর বিপুলের হাত বেঁধে বাথরুমে আটকে রাখেন। তিনি এসময় চিৎকার করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মিনিট ২০ পর ওপর থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শোনা যায়। আওয়াজ পেয়ে নিরাপত্তারক্ষী অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের দিকে গিয়ে দেখেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন রিতিকা। তার হাত-পা বাঁধা।
আগরার এসএসপি সুধীর কুমার সিং বলেন, ঘটনার তদন্ত করে জানা যায়, রিতিকা-বিপুল একসঙ্গেই থাকতেন। তার প্রাক্তন স্বামী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারপরই রিতিকার হাত-পা বেঁধে বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।