“ধ্বংসাত্মক পরিণতি হবে রাশিয়ার”-এবার পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, জেনেনিন কেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আগেই ধমক দেওয়ার পর এবার তিনি রাশিয়ার দিকে নজর ফেরালেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সৌদি আরবের জেড্ডায় কিভ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তাতে যদি রাশিয়া কোনওভাবে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে মস্কোকে বড় মূল্য চোকাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন রাজি, রাশিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
ইউক্রেন ইতিমধ্যেই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। জেলেনস্কি এই প্রস্তাব মেনে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতেও প্রস্তুত। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “ইউক্রেনের এই পদক্ষেপ ইতিবাচক। এবার রাশিয়াও আশা করি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে।” তবে পুতিন এখনও এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানাননি। ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়া যদি এই সমঝোতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে মস্কোকে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

ট্রাম্পের বার্তা: শান্তি চাই, কিন্তু প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ
ট্রাম্প বলেছেন, “মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিরা মস্কো যেতে প্রস্তুত। এবার যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার রোডম্যাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা মস্কোর। আমরা আলোচনার জন্য তৈরি। কিন্তু রাশিয়া যদি এতে সায় না দেয়, তাহলে এমন পদক্ষেপ করা হবে যা রাশিয়ার জন্য ধ্বংসাত্মক হবে। তবে আমি এসব চাই না, আমার লক্ষ্য শান্তি।” তাঁর এই বক্তব্যে শান্তির পাশাপাশি কঠোর হুঁশিয়ারির সুর স্পষ্ট।

জেড্ডায় সমঝোতা: ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেড্ডায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও খনিজচুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। বৈঠকের পর ইউক্রেন জানায়, তারা আমেরিকার দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি। জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার জন্যও সম্মতি দিয়েছেন। ইউক্রেনের এই সিদ্ধান্তের পর বন্ধ করে দেওয়া মার্কিন সামরিক সাহায্য ফের চালু হয়েছে। তবে রাশিয়া এই প্রস্তাবে সম্মতি দেবে কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত।

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলছে, এবং এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে অনেকে শান্তির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে পুতিনের নীরবতা ও রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ এখনও প্রশ্নচিহ্ন। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি কতটা কার্যকর হবে এবং মস্কো কীভাবে এর জবাব দেবে, সেদিকে নজর রেখেছে গোটা বিশ্ব। আগামী দিনে এই সমঝোতা কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy