
হোলির দিনে সাত সকালে দেশের দুই প্রান্তে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। লাদাখের কার্গিল এবং অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। জাতীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্র (NCS) এর তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পগুলির তীব্রতা এবং গভীরতা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, ভূমিকম্পের জেরে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
লাদাখের কার্গিলে ভূমিকম্প
প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে লাদাখের কার্গিলে। ভূমিকম্পটি ১৫ কিলোমিটার গভীরে রেকর্ড করা হয়েছে। জম্মু এবং শ্রীনগরের বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, ঘুমের মধ্যেই তারা কম্পন অনুভব করেন। আতঙ্কের জেরে অনেকেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে, ভূমিকম্পের তীব্রতা কম হওয়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
অরুণাচল প্রদেশে ভূমিকম্প
দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে সকাল ৬টা নাগাদ, অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলায়। জাতীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্রের মতে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪.০ ছিল এবং এটি ১০ কিলোমিটার গভীরে রেকর্ড করা হয়েছে। এই ভূমিকম্পেও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের প্রভাব
দুই স্থানেই ভূমিকম্পের তীব্রতা কম হওয়ায় তা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বিশেষ করে লাদাখের কার্গিল এবং অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেংয়ের বাসিন্দারা এই কম্পন অনুভব করেন।
উপসংহার
হোলির দিনে জোড়া ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হলেও, ভূমিকম্পের তীব্রতা কম হওয়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলিতে এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে, তবে সচেতনতা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া যেকোনো বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে সাহায্য করে।
এই ঘটনা আবারও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলিতে সতর্কতা এবং প্রস্তুতির গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। ভূমিকম্পের সময় কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যায়, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।