বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুসপ্তাহের মধ্যেই চালের মান এবং ধরনভেদে কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রক। সেইসঙ্গে, ভারত থেকে চাল এবং গম আমদানির ক্ষেত্রে যে ‘বার্ষিক কোটা’ আছে তার সুবিধাও নিতে চাইছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আশা, ভারত থেকে চাল ও গম আমদানির ফলে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকবে। এজন্য চলতি বছর ৪৫ লাখ টন চাল ও গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও শুরু করেছে বাংলাদেশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আগামীদিনেও দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক থাকবে। এইসঙ্গে বাংলাদেশের সরকার দাবি করেছে, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রফতানিতে ভারত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা তুলে নেওয়া হতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন জানান, বাংলাদেশে আমনের উৎপাদন ভালো হয়েছে। বোরোতেও উৎপাদন ভালো হবে আশা করছেন তাঁরা। তারপরেও ভারত থেকে চাল এবং গম আমদানি করতে চাইছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, “ভারত থেকে জরুরি পরিস্থিতিতে কোটার মাধ্যমে চাল আমদানির ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।”