দুটি সন্তানের মধ্যে কত বছরের পার্থক্য উচিত? সন্তান নেয়ার আগে জেনে নিন আপনিও

বিয়ের পরপরই অনেকে বাচ্চার প্ল্যানিং করা শুরু করে দেন। আবার কেউ কেউ প্রথম সন্তানের পরপরই শুরু করে দিতে চান দ্বিতীয় বাচ্চার প্ল্যানিং। কিন্তু কেউই সঠিক সময় জানেন না, জানেন না কখন শুরু করা উচিত ফ্যামিলি প্লানিং। ফ্যামিলি প্লানিং নির্ভর করে মায়ের স্বাস্থ্যের উপরেও। এক্সপার্টরা বলেন প্রথম সন্তান জন্মানোর পর কম করে দেড় বছরের গ্যাপ রাখতে হয় দ্বিতীয় সন্তানের প্ল্যানিং শুরু করার আগে।

যদি দেড় বছরের কম সময়ে রাখা হয় তাহলে ডেলিভারির সময় মা ও বাচ্চা উভয়েরই প্রাণ সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যদি প্রথম সন্তান সি-সেকশনে হয় তাহলে সেলাই শুকানোর জন্য অতিরিক্ত সময় দিতে হয়। এছাড়াও দুই বাচ্চার জন্মের মধ্যে গ্যাপ কম হলে প্রিমেচিউর
ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আবার যদি দুই বাচ্চার জন্মের মাঝখানের দূরত্ব বেশি হয় তাহলে মায়ের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।এছাড়াও দুই সন্তানের মাঝে গ্যাপ বেড়ে গেলে সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক ভাবে একে অপরের কাছাকাছি আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এই সব দিক বিবেচনা করে এক্সপার্টরা দুই সন্তানের মধ্যে তিন বছরের গ্যাপের কথা বলেছেন। এই তিন বছরে পিতা-মাতা তার প্রথম সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন এবং নিজেদের শারীরিক সুস্থতাও লক্ষ রাখতে পারেন। এছাড়াও তিন বছরের গ্যাপ রাখলে দুই সন্তানের মধ্যে মানসিক ভাবেও দূরত্বের সৃষ্টি হয় না।।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy