
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার বিভীষিকা পেরিয়ে অবশেষে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া দেহ নিয়ে রবিবার মণিপুরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল এয়ারহোস্টেস নগান্থোই শর্মার। তাঁর এই শেষযাত্রায় গোটা পরিবার এবং স্থানীয় গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়লেন, এক শোকস্তব্ধ পরিবেশে চিরবিদায় জানানো হলো তাঁকে।
বিমান দুর্ঘটনায় নগান্থোই শর্মার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর পরিবার এক গভীর শোক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল। দুর্ঘটনার ভয়াবহতার কারণে দেহ শনাক্তকরণে বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আজই তাঁর নশ্বর দেহ মণিপুরে আনা হয়।
সকাল থেকেই নগান্থোইয়ের গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীরা। প্রিয়জনের নিথর দেহ যখন শেষবারের মতো ঘরের আঙিনায় পৌঁছালো, তখন তাঁদের বুকফাটা আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বাবা-মা, ভাই-বোন সহ পরিবারের প্রতিটি সদস্য অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের আদরের নগান্থোইকে শেষ বিদায় জানালেন।
আহমেদাবাদের সেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, নগান্থোই শর্মা তাঁদেরই একজন। তাঁর অকাল প্রয়াণ শুধু পরিবারের নয়, গোটা মণিপুর রাজ্যের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর শেষকৃত্য যেন সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার এক বেদনাদায়ক পরিসমাপ্তি ঘটালো।