ভারত সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়তে চাইছে। সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকারও বিভিন্ন সরকারি কাজকর্মে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জোর দিচ্ছে। কলকাতা পুরসভাও সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অনলাইন পরিষেবা চালু করেছে।
কলকাতা পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে অনলাইনে পুরসভার কাজ সেরেছেন আরও ৫৫ শতাংশ মানুষ। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষের ভোগান্তি কমেছে, অন্যদিকে তেমনই সময় বাঁচছে বলেই জানাচ্ছেন পুরকর্তারা। এছাড়া অনেকটাই লাগাম টানা গিয়েছে দালালরাজে।
কলকাতা পুরসভার অনলাইন ব্যবস্থা অত্যন্ত পুরনো ছিল। হাতেগোনা মাত্র কিছু সংখ্যক নাগরিকই সেগুলির ব্যবহার জানতেন। কিন্তু, করোনার লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ পুরসভা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ মেটানোর জন্য একপ্রকার বাধ্য হয়েই অনলাইন পদ্ধতির দ্বারস্থ হতে হয়। আর তারপরে তা কার্যত অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। নাগরিক চাহিদা মেনে অনলাইন ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা হয়।
বর্তমানে প্রতিমাসে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিভিন্ন কাজ সেরে নিচ্ছেন অনলাইনেই। তার মধ্যে সম্পত্তি কর প্রদান, মিউটেশন বা বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন-সহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। রোজ প্রায় ৮ হাজার নাগরিক বিভিন্ন কাজ অনলাইনেই করে থাকেন। মাসিক হিসেব ধরলে সংখ্যাটি পৌঁছয় প্রায় আড়াই লাখে।
করোনাকালে পুরসভার আয়ও ধাক্কা খায়। যেহেতু মানুষের বাড়ি থেকে বের হওয়া ও জমায়েতের ওপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাই পুর-অফিসে গিয়ে কেউ কর জমা করতে পারছিলেন না। সেই সময় অনেকটাই প্রয়োজন হয়ে পড়ে অনলাইন ব্যবস্থা। মেয়রের নির্দেশে তৎপর হন পুর কমিশনার। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র জন্য শুরু হয় অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। একইসঙ্গে চালু হয় হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবাও। ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে পুরসভার যাবতীয় কাজ বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই করা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার অনলাইন পরিষেবায় ৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে মানুষের ভোগান্তি কমেছে, সময় বাঁচছে এবং দালালরাজের লাগাম টানা গেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।