তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম, তবে কি এবার পরমাণু যুদ্ধ?

প্রায় দু’হাজার কিলোমিটারের ভৌগোলিক দূরত্বকে অতিক্রম করে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত এখন বিশ্ববাসীর সামনে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলায় বিধ্বস্ত জনজীবন, আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে উভয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইজরায়েলি হামলায় ইরানের কোমর ভাঙার মতো দশা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, এমনকি তেহরানও ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে।

যদিও ইরান ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ভেঙে দিতে সফল হয়েছিল, কিন্তু ইহুদি রাষ্ট্রকে মাথা নোয়াতে পারেনি। বরং, গত দু’দিনের মধ্যে একাধিক ইজরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক ও অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটির শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন যে এই যুদ্ধ তাদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনছে না। এই পরিস্থিতিতে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, তেহরান এখন ‘শেষ কামড়ের’ কথা ভাবছে এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।

এই উত্তেজনার পারদের মধ্যেই নতুন করে মাত্রা যোগ হয়েছে ইজরায়েলের এক নজিরবিহীন হামলা। এদিন ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম IRIB-এর কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। হামলার ঘটনাটি একটি ভিডিওতে ধরা পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, লাইভ সংবাদ পাঠ চলাকালীন হঠাৎ করেই স্টুডিওর একাংশ বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে এবং সাংবাদিকরা দ্রুত অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান।

ইজরায়েল এই হামলার কারণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে ইরানের ‘প্রোপাগান্ডা’ বন্ধ করার কথা বলেছে। অন্যদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহুর এই ‘সাহসিকতাকে’ যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তেহরান ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই হামলার জবাব ‘ভয়ঙ্কর’ ভাবে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই রাজধানী ফাঁকা করার খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে দুই দেশ? বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে এই সংঘাত নিরসনের জন্য কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের দাবি জোরালো হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy