এক প্রমোদতরীর পার্টি থেকে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলেকে গ্রেপ্তার করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো-এনসিবি, সাত মাস পর তারা বলছে, আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ে কর্ডেলিয়া নামের ওই প্রমোদতরীতে চালানো অভিযানের ঘটনায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে এনসিবি। সেখানে মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সেই অভিযানে কর্ডেলিয়া থেকে ২৩ বছর বয়সী আরিয়ানসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মাদক আইনে। তবে অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় আরিয়ানের নাম রাখা হয়নি।
“যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের সবার কাছে মাদক পাওয়া গেছে, তবে আরিয়ানের কাছে কোনো মাদক ছিল না।”
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আরিয়ানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ‘যথেষ্ট প্রমাণ না মেলায়’ অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে এনসিবির ভাষ্য।
অথচ আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের পর এনসিবি কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, শাহরুখপুত্র নিজে নিয়মিত মাদক নেন এবং সরবরাহও করেন। আরিয়ান ও তার আইনজীবী আদালতে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার তিন সপ্তাহ পর বেশ কিছু শর্তে জামিন পেয়েছিলেন আরিয়ান। শর্ত ছিল, তার পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে আদালতের কাছে। প্রত্যেক শুক্রবার এনসিবি দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। অভিযুক্ত কিংবা সাক্ষীদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না তিনি। আর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারবেন না।
আরিয়ানের গ্রেপ্তার এবং তদন্ত নিয়ে নানা খবর সে সময় প্রতিদিনই গণমাধ্যমের শিরোনাম দখল করে রাখছিল। ওই গ্রেপ্তার নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনেও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছিল। তবে আরিয়ানের জামিনের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে থিতিয়ে আসে।
শাহরুখ খানের তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে আরিয়ান সবার বড়। আরিয়ানার ছোট বোন সুহানা খান। সবচেয়ে ছোট আব্রাম খান।
আরিয়ান তার বাবার সঙ্গে এনিমেশন ফিল্ম লায়ন কিংয়ের হিন্দি সংস্করণে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। ওই চলচ্চিত্রে সিমবার কণ্ঠটি আরিয়ানের, আর সিমবার বাবা মুফাসার কণ্ঠটি ছিল শাহরুখের।