
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ফোনালাপের পর ইরানে আর নতুন কোনো হামলা চালায়নি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে করা হয়েছে এ দাবি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পর ইরান তা লঙ্ঘন করে ইসরায়েলে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর জবাবে তেহরানের কাছে একটি ‘রাডার অ্যারে’-তে আঘাত হানে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।”
“কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন এবং তিনি ফোন করার পর ইসরায়েল আর ইরানে হামলা করা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলের স্থানীয় সময় সকাল সাতটা বেজে ছয় মিনিটে একটি এবং ১০ টা ২৫ মিনিটে আরও দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনকলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন— ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েল তার ‘সব লক্ষ্য অর্জন করেছে’ বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এদিকে নেতানিয়াহুকে ট্রাম্পের ফোনকলের সত্যতা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলেছেন, নেতানিয়াহুকে ফোন করে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, “আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প; কিন্তু টেলিফোনে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাধারণত যে ভাষায় কথা বলেন, তার তুলনায় আজ তার ভাষা কঠোর ছিল।”
রোববার মধ্যরাতে ইরানের পরমাণু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন বিমান বাহিনী। সংক্ষিপ্ত এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন মিডনাইট হ্যামার।
অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের জবাব দিতে সোমবার কাতার এবং ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এই হামলার কয়েক ঘণ্টার পর মধ্যরাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
সূত্র : বিবিসি