
কিছুদিন আগেই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের পছন্দের নাম জানিয়েছিলেন অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শুভমন গিল নন, তিনি চান যশপ্রীত বুমরাকেই নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হোক। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’-এ তিনি বলেছিলেন, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে একটা শূন্যস্থান তৈরি হবে, যা পূরণের জন্য নতুন নেতা প্রয়োজন। এবার অধিনায়ক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার দাবি তুলেছেন অশ্বিন।
সাধারণ মানুষের মতামত কীভাবে গুজবকে বাস্তবে পরিণত করে, যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক, সেই প্রসঙ্গে অশ্বিন বলেন, “একজন কেউ কিছু বললে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। কিন্তু যখন পাঁচজন একই কথা বলে, তখন তার ওজন বেড়ে যায়। আর পঞ্চাশজন একই কথা বললে, মনে হয় সেটাই সত্যি। এটাই আমার কাছে উদ্বেগের বিষয়।”
অশ্বিনের মতে, ফাস্ট বোলারদের চোট-আঘাত থাকবেই, লম্বা টেস্ট সিরিজে চোট এড়িয়ে খেলা মুশকিল। তবে তিনি বুমরাকে ‘জাতীয় সম্পদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অশ্বিন বলেন, “বুমরার একটা বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে। ও যদি সিরিজের পাঁচটা টেস্টেই খেলতে পারে, তাহলে আমি খুবই অবাক হব। ওর শরীরের ধকল সামলানোর জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন। তবে এইসব সত্ত্বেও, যদি ওকে নেতৃত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে আমি খুবই হতাশ হব।”
পাশাপাশি, রবীন্দ্র জাদেজার নামও অধিনায়কের সম্ভাব্য তালিকায় উল্লেখ করেছেন তিনি। অশ্বিন মনে করেন, তরুণ প্রজন্ম নেতৃত্ব দেওয়ার মতো প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত কয়েক বছরের জন্য জাদেজাকে অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাদেজাকে ভুলে গেলে চলবে না। ও দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের একজন। ওর কথাও ভাবা যেতে পারে।”
অধিনায়ক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অশ্বিনের পছন্দ অস্ট্রেলিয়ান মডেল। তিনি বিশ্বাস করেন, অধিনায়ক, কোচ এবং নির্বাচকরা মিলে একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার গড়তেও পারে, আবার ভেঙেও দিতে পারে। তাঁর মতে, অতীতে এমনটা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হতে পারে। তাই এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হওয়া উচিত। অশ্বিন মনে করেন, “আমি মনে করি, অধিনায়ক নির্বাচনের জন্য একটা ইন্টারভিউ হওয়া উচিত।”
অল্প বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হওয়া গ্রেম স্মিথের সঙ্গে শুভমন গিলের তুলনা টেনেছেন অশ্বিন। তবে তাঁর মতে, এখনই গিলকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দেখার সময় আসেনি। এই মুহূর্তে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের হাতেই নেতৃত্ব থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।