
একসময় বলিউডে ঝড় তোলা অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে, যিনি অল্প সময়ের জন্য হলেও অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, হঠাৎ করেই হিন্দি সিনেমার জগৎ থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের ছবিতে কাজ শুরু করেন এবং সেখানেও যথেষ্ট সাফল্য পান। তবে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এবং আর্থিক সমস্যার কথা এর আগেও তিনি জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চাঙ্কি পাণ্ডে এমন এক বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন, যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে দর্শকদের।
বলিউডে চাঙ্কি পাণ্ডে বরাবরই ‘কঞ্জুস’ (কৃপণ) হিসেবে পরিচিত। তার মেয়ে অনন্যা পাণ্ডেও বাবার এই স্বভাবের কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। এমনকি, টাকা বাঁচানোর জন্য নাকি নিজের জন্মদিনের পার্টিও অন্যকে দিয়ে আয়োজন করান চাঙ্কি! এবার তিনি আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন।
চাঙ্কি জানান, একবার নাকি টাকার লোভে তিনি অজান্তেই একটি শ্রাদ্ধ বাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। তার কথায়, “সেই সময় সিনেমা অথবা অনুষ্ঠানে যোগদান করা ছাড়া আর অন্য কোনও উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যেত না। অন্য কোনও মাধ্যম ছিল না, যার সাহায্যে মানুষ অর্থ উপার্জন করতে পারবে।”
অভিনেতা জানান, একবার একজন ইভেন্ট আয়োজক তাকে ফোন করেছিলেন। তিনি চাঙ্কিকে দশ মিনিটের জন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে বলেন এবং সাদা পোশাক পরে যেতে বলেন। চাঙ্কি ভেবেছিলেন হয়তো এটাই নিয়ম, তাই তিনিও সেই পোশাকেই হাজির হন।
চাঙ্কি পাণ্ডে আরও বলেন, “সেদিন আমার ভীষণ রাগ হয়েছিল। আমি কী করবো বুঝতে পারছিলাম না।” তিনি লক্ষ্য করেন, অন্য একজন অভিনেতা হাউহাউ করে কাঁদছেন এবং তিনি সেই অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। এই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে চাঙ্কি পাণ্ডের অভিজ্ঞতা সত্যিই হাস্যকর এবং একই সাথে অভিনেতাদের জীবনের কঠিন বাস্তবতার এক ঝলক তুলে ধরে।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, একসময় বলিউডে খ্যাতিমান হলেও, চাঙ্কি পাণ্ডেকে তার কেরিয়ারের কঠিন সময়ে কতটা আর্থিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি এখন বিনোদন মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।