ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ট্রাম্প-জেলেনস্কির সেই ফোনালাপে যুক্ত ছিলেন ইলন মাস্কও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরদিন তাঁকে টেলিফোন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত বুধবার হওয়া ২৫ মিনিটের সেই ফোনালাপে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেন, তিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করবেন। তবে এর বিস্তারিত জানাননি। এদিকে, মাস্ক ইউক্রেনে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সরবরাহ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স কোম্পানি স্টারলিংক স্যাটেলাইট যোগাযোগ সেবা প্রদান করে থাকে। এই সেবা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর থেকে মাস্কের কিছু মন্তব্য কিয়েভকে ক্ষুব্ধ করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ চলাকালে ইন্টারনেট পরিষেবা নিশ্চিত করতে স্যাটেলাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল—তা নিয়ে জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেন। তখন ট্রাম্প তাঁকে জানান, ইলন মাস্ক তাঁর সঙ্গেই আছেন এবং এরপর মাস্ককে টেলিফোন আলাপে যুক্ত করেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য বলছে, মাস্ক যখন ট্রাম্পের ফ্লোরিডার পাম বিচের বাসভবন ও ক্লাব মার-এ-লাগোতে অবস্থান করছিলেন, ঠিক তখনই এই ফোনালাপটি হয়। মাস্ক ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় কয়েক মিলিয়ন ডলার তহবিল জুগিয়েছেন এবং বিভিন্ন জনসমাবেশে তাঁর পাশে উপস্থিত হয়েছেন।
ট্রাম্প এর আগে বলেছেন, তিনি মাস্ককে প্রশাসনে একটি ভূমিকা দিতে পারেন, যেখানে মাস্ক সরকারি কার্যক্রমে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। তবে মাস্ক এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ট্রাম্পের প্রচারণা দলও ব্যক্তিগত বৈঠক নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ট্রাম্পের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিষয়ে মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে সমালোচনামূলক অবস্থানের পরও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর মধ্যে প্রথম কয়েকজন বিশ্বনেতাদের মধ্যেই ছিলেন। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনা চলমান থাকবে।
জেলেনস্কি লিখেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা ও সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হয়েছি। বিশ্বেও একটি ন্যায়সংগত শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ও অটুট নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’