
জামাইষষ্ঠী মানেই শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদরের এলাহি আয়োজন। বাজারেও ভিড় জমাচ্ছেন শ্বশুরমশাইরা। তবে এবার এই উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম। রান্নাঘরের ধকল থেকে শাশুড়িদের মুক্তি দিতে এবং জামাইষষ্ঠীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নেওয়া হয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। ‘বাঙালিয়ানায় জামাই আদর’ নামের এক বিশেষ বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের আয়োজন করা হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলে রাজকীয় ভোজ
শহরের কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির কাছাকাছি, একেবারে সমুদ্র উপকূলে এই বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। শুধু দিঘা নয়, আগামী ৩১ মে ও ১ জুন এই রাজকীয় ভোজের আয়োজন থাকছে দিঘার দিঘালি-১, শিলিগুড়ির মৈনাক, বোলপুরের শান্তবিতান এবং বিধাননগরের উদয়াচলে রাজ্য পর্যটন আবাসনে। দিঘালি-১ পর্যটন আবাসন কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কোনো জামাইষষ্ঠীতেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, এবারই এটি প্রথম।
খরচ ও মেনু
লাঞ্চ ও ডিনারের ক্ষেত্রে প্রতি প্লেটের দাম রাখা হয়েছে ১০৯৯ টাকা। প্রতিদিন দু’বেলায় ৫০টি করে মোট ১০০টি কুপন পাওয়া যাবে। রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অনেকে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।
১০৯৯ টাকায় ২০টি পদের এই রাজকীয় ভোজের মেনুতে থাকছে একাধিক রকমারি পদ। শুরুতেই থাকছে ফুলকো লুচির সঙ্গে ভাজা মশলার আলুর দম। এরপর সুগন্ধি চালের ধোঁয়া ওঠা ভাত আর লাউ দিয়ে অড়হর ডাল, গন্ধরাজ স্যালাড, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, মাছ অথবা চিংড়ির পাঁপড়, ছানার পুর ভরা পটলের দরমা, বেগুন সুন্দরী এবং কাজু কিশমিশ পোলাওয়ের মতো জিভে জল আনা সব পদ। আমিষের তালিকায় থাকছে গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি আর পাঁঠার কষা মাংস।
রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এই উদ্যোগ জামাইষষ্ঠীর আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবার শাশুড়িরাও রান্নাঘরের চাপমুক্ত হয়ে জামাইষষ্ঠীর উৎসবে শামিল হতে পারবেন।