রাতে সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বাড়ির সীমানা প্রাচীরে বড়সড় কিছু একটা দেখেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের জসবিন্দ সিং। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে ভালো করে তাকিয়ে দেখেন সেটা একটা বাঘ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যায় ঘটনা, ঘুরতে থাকে বাঘটির ছবি।
মানুষের উৎসাহ ছিল ঘুমন্ত বাঘটিকে ঘিরে, যদিও আশপাশে জড়ো হওয়া উৎসাহী মানুষকে নিয়ে খুব একটা ভাবিত ছিল না বাঘটি।
পরে খবর পেয়ে বাঘটিকে উদ্ধার করেন বন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ওই রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে জসবিন্দ সিং বলেন, খুব চিন্তা হচ্ছিল। ভাগ্যিস বাড়িতে খুব বেশি লোক ছিল না। পুলিশ, বনবিভাগ সবাইকে ক্রমাগত ফোন করছিলাম। তাদের ফোন করে বললাম আমার বাড়ির প্রাচীরে বাঘ ঘুমাচ্ছে। হাতের কাছে যা ছিল সেটা ছুঁড়তে থাকি। কিন্তু ভয়ও হচ্ছিল যদি ভয় পেয়ে বাঘটা পালানোর সময় কাউকে আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, আমার ছেলে দৌড়ে এসে বলল বাবা প্রাচীরে বাঘ বসে আছে। আমি বিশ্বাসই করিনি। এরপর ভাইপোও একই কথা বলল। আমি গিয়ে দেখলাম সত্যিই একটা বাঘ বসে। নিজের চোখকে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। গ্রামের ঢোকার রাস্তায় বা আখের ক্ষেতের কাছে বাঘ দেখা গেলেও গ্রামের একেবারে ভেতরে কখনও চলে আসেনি তারা।
সকাল হতেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। ততক্ষণে প্রাচীরেই ঘুমিয়ে পড়েছে বাঘটি।
পরে বন দপ্তরের কর্মীরা বাঘিটিকে আয়ত্তে আনেন। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যঘ্রপ্রকল্প কেন্দ্রের পশু হাসপাতালে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।