
চিরাচরিত রীতি মেনে বেলুড় মঠে উদযাপিত হচ্ছে দোল উৎসব। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মন্দিরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শ্রীচৈতন্যদেবের প্রতিকৃতির পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করে মঠের সন্ন্যাসী, মহারাজ এবং উপস্থিত ভক্তরা একে অপরের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এরপর খোল-করতাল বাজিয়ে মঠ প্রদক্ষিণ করা হয়।
দোলের দিন কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা মায়াপুরের ইসকন মন্দিরও। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৯তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন। গৌড় পূর্ণিমা উৎসবের অংশ হিসেবে সকালে মঙ্গলারতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দিনভর বিশেষ পুজো, হরিনাম সংকীর্তন এবং ভক্তিমূলক কর্মকাণ্ড চলে। আবির বা রঙের পরিবর্তে ভক্তরা কৃষ্ণপ্রেমে নিজেদের রাঙিয়ে নেন।
এদিকে, নৈহাটিতে রঙের উৎসবে মাতলেন পশ্চিমবঙ্গের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। দোলের দিন সকালে স্বপ্নবীথি পার্কের সামনে থেকে নৈহাটি পুরসভা পর্যন্ত বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। বসন্ত উৎসবে নিজে খোল বাজিয়ে অংশ নেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ। প্রভাতফেরিতে অংশ নেন নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের অন্যান্য স্থানীয় নেতৃত্বও।