
চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (ডিএ) এবং ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে। সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন ফোরামের সদস্যরা এই আশা প্রকাশ করেছেন। খবর অনুযায়ী, বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ইস্যুটি আলোচনায় আসতে পারে।
ভাতা বৃদ্ধির কারণ
কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর মার্চ ও অক্টোবর মাসে, অর্থাৎ হোলি ও দীপাবলির আগে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ ও ডিআর বৃদ্ধি করে থাকে। এই রীতি অনুসারে, এবারও মার্চ মাসে ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে। জানুয়ারি মাস থেকে এই বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২% বৃদ্ধির সম্ভাবনা
সরকারি কর্মচারীদের আশা, এবার ডিএ ২% বৃদ্ধি পেতে পারে। শিল্প শ্রমিকদের জন্য উপভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এর ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার বিবেচনা করে ডিএ ও ডিআর নির্ধারণ করা হয়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার মুদ্রাস্ফীতির হার কম থাকায় ভাতা বৃদ্ধির পরিমাণও কম হতে পারে।
সরকারি কর্মচারীদের প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী ও শ্রমিকদের কনফেডারেশনের সভাপতি রূপক সরকার বলেছেন, “মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি সম্ভবত ২% হবে। কারণ এটি শিল্প শ্রমিকদের জন্য উপভোক্তা মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের তুলনায় এই বছর মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, গত অক্টোবরে ৩% এবং মার্চে ৪% ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। যদি ২% ডিএ বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে তারা ৫৫% হারে ডিএ পাবেন।
উপকৃতের সংখ্যা
কেন্দ্রীয় সরকার যদি মার্চ মাসেই ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে, তাহলে দেশের প্রায় ৫৫ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং ৬০ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এই সুবিধা পাবেন। এই ঘোষণা সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি বয়ে আনবে।
অষ্টম বেতন কমিশনের প্রসঙ্গ
এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার জানুয়ারি মাসে অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ করেছে। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে এই সুপারিশ কার্যকর হতে পারে। এই কমিশনের সুপারিশ সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ ও ডিআর বৃদ্ধির এই সম্ভাব্য ঘোষণা তাদের আর্থিক স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।