গুজরাট হিংসায় যারা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন, তাদের ওঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আজ গুজরাটের দাঙ্গা প্রসঙ্গে এমনি মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
কেন্দ্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আজ বলেন ‘বিজেপির উপর থেকে কলঙ্ক মুছে গেছে। গুজরাট হিংসা নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে। সবটাই ছিল রাজনৈতিক উদ্যেশ্য প্রনোদিত। উনি দীর্ঘ লড়াই করেছেন। সব বিষ হজম করে লড়াই করেছেন।’
ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্যতম নিন্দাজনক অধ্যায় হলো গুজরাট দাঙ্গা। আর সেই দাঙ্গার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণের অভাবে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছিলো সিট্।
আর সেই ক্লিনচিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরী।
সেই আর্জিই আজ শুক্রবার খারিজ করে দিলো সুপ্রিমকোর্ট। উল্লেখনীয় ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হিংসায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।তাদের মধ্যে ছিলেন এহসান।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভিযোগ করেছেন, গুজরাট দাঙ্গার সময় প্রশাসন সেনা নামাতে চব্বিশ ঘন্টারও বেশি দেরি করেছিল – যেটা না-হলে হয়তো বহু প্রাণহানি ঠেকানো যেত।
সেনাবাহিনীর প্রাক্তন উপপ্রধান জমিরউদ্দিন শাহ গুজরাট দাঙ্গার মোকাবিলায় মোতায়েন করা সেনাদের নেতৃত্বে ছিলেন, তিনি তার প্রকাশিত বইতে দাঙ্গা ঠেকানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন।
‘দ্য সরকারি মুসলমান’ নামে তার ওই বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিও দাঙ্গার সময় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই ভয়াবহ দাঙ্গার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের এখনকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০০২ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় গুজরাটে দুহাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন মুসলিম।