
খাবারে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রণ ও পচা খাবার বিক্রির অভিযোগে বীরভূমের আহমেদপুরে অভিযান চালাল খাদ্য সুরক্ষা দফতর। অভিযানে ধরা পড়ল বেশ কয়েকটি দোকানে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও কাপড় রং করার বিষাক্ত রাসায়নিক। এ কারণে দোকানদারদের কান ধরে ওঠবস করিয়ে শাস্তি দিলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আহমেদপুরের বিভিন্ন দোকানে হানা দেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। মিষ্টির দোকান, বিরিয়ানির দোকান, হোটেল ও মুদির দোকানেও চলে এই অভিযান।
1.কি পাওয়া গেল?
2.পচা ও বাসি খাবার
3.কাপড় রং করার বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো খাবার
4.সংরক্ষিত বাসি মাংস
5.অবৈধভাবে ব্যবসা চালানো ও লাইসেন্সের অভাব
অভিযানে বেশ কিছু দোকানের বাসি মিষ্টি, শিঙাড়া ও জিলিপি ফেলে দেওয়া হয়।
একটি বিরিয়ানির দোকান থেকে বাসি মাংস উদ্ধার করে তা নষ্ট করা হয়।
লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা চালানো দোকানগুলিকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক ব্যবসায়ী অলোক দাস জানান, তিনি আগে জানতেন না যে কাপড় রং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সতর্ক করার পর থেকে তিনি এটি ব্যবহার করবেন না বলে আশ্বাস দেন।
বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের আধিকারিক ডক্টর প্রসেনজিৎ বটব্যাল জানান, “আমরা বেশ কিছু দোকানে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও বিষাক্ত রাসায়নিক পেয়েছি। এছাড়াও, বেশিরভাগ দোকানের লাইসেন্স নেই। ১৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং খাদ্যের গুণমান নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।