খড়গপুরের গোলবাজারে প্রসাধনীর গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রবিবার সকালে খড়গপুরের গোলবাজারে একটি প্রসাধনীর গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে, এই অগ্নিকাণ্ডে কয়েক লক্ষ টাকার প্রসাধনী সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

জানা গেছে, রবিবার হওয়ায় গোডাউনটি বন্ধ ছিল। খড়গপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোলবাজারের এই গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে সাজ-সরঞ্জাম মজুত করা ছিল। সকালে হঠাৎই গোডাউনের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। দ্রুত খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানা এবং দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে দমকলকে:

আগুন লাগার খবর পেয়ে গোডাউনের মালিকও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং শাটার খুলে ভিতরে প্রবেশ করে জিনিসপত্র বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিতরে প্রচুর পিচবোর্ডের বাক্স ও রাসায়নিক পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, এই কারণে জিনিসপত্র বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বি বাসন্তী বলেন, “সকালবেলায় আগুন লেগেছে। আগুন ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সকাল থেকে আমরা এখানে রয়েছি। আগুন নেভাতে দমকলকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখনও ভিতরের দিকে কিছু কিছু জায়গায় আগুন রয়েছে। এই গোডাউনে কয়েক লক্ষ টাকার কসমেটিকস নষ্ট হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়।”

তদন্তে নেমেছে পুলিশ:

ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের আধিকারিক আশিস দে জানান, “আমরা প্রথমে দুটি ইঞ্জিন নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে আরেকটি ইঞ্জিন আনতে হয়। ভিতরে অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে, তবে ধোঁয়া প্রচুর রয়েছে। সেটা কম না হলে ভিতরে ঢোকা সম্ভব নয়। আগুন কী কারণে লেগেছে, তা তদন্ত করে দেখার পরেই বোঝা যাবে।”

খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy