“কোনোদিন ২০ ঘণ্টা কাজ করিনি”-বলিউডে কাজের চাপ ও শুটিং নিয়ে যা বললেন কাজল

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল দেবগন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার কর্মজীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি কখনোই দিনে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেননি, এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিবার ও প্রযোজকদের অনবদ্য সহযোগিতা পেয়েছেন। এই নীতিই তাকে কাজ ও সংসার সমানতালে সামলাতে সাহায্য করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

৫০ বছর বয়সী কাজল নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সফল বাণিজ্যিক অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। আজও তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি সেইসব অভিনেতাদের একজন ছিলাম যারা এক সময়ে একটি মাত্র ছবিতেই কাজ করতে পছন্দ করতাম।” তার এই ‘এক সময়ে এক ছবি’ নীতি তাকে প্রতিটি প্রজেক্টে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করেছে বলে মনে করা হয়।

তিনি আরও বলেন, “একসঙ্গে একাধিক প্রজেক্টে কাজ করার পক্ষপাতী ছিলাম না আমি। একটি শেষ হলে তবেই অন্যটি করতে রাজি হতাম। দিনে ২০ কিংবা তার বেশি ঘণ্টা কাজ করতাম না কখনোই। এই সিদ্ধান্ত নিতে পরিবারকে পাশে পেয়েছি, বিশেষ করে আমার মা খুব সাহায্য করতেন।”

সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন শুটিংয়ে আট ঘণ্টা কাজ করার দাবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এমনকি এই বিতর্কের জেরে তিনি সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ‘স্পিরিট’ ছবি থেকেও বাদ পড়েছেন বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে কাজলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

কাজল জানান, তার প্রথম সন্তান নিসার জন্মের পরেও প্রযোজকদের সঙ্গে তার কাজের সময় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছিল। আনন্দের বিষয় হলো, তার ক্ষেত্রে প্রায় সব প্রযোজকই ছিলেন অত্যন্ত ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ বা সহানুভূতিশীল। তারা তাকে সময়ের আগেই কাজ থেকে ছুটি দিয়ে দিতেন, যার ফলে তিনি দ্রুত সন্তানের কাছে ফিরতে পারতেন।

কাজলের এই মন্তব্য বলিউডের বর্তমান প্রজন্মের তারকাদের জন্য একটি বার্তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে পেশাদারিত্ব এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েও যে সফল কর্মজীবন গড়ে তোলা সম্ভব, কাজল যেন তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy