কৈলাশহর বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে জোর তৎপরতা! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক এএআই আধিকারিকদের

ত্রিপুরার উনকোটি জেলার কৈলাশহরে অবস্থিত পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি দ্রুত চালুর বিষয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কৈলাশহর বিমানবন্দর দ্রুত চালুর অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই এই বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পর এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিনিধি দল কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করে। প্রয়োজনীয় সমীক্ষার পর এই প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিমানবন্দরটি চালু করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। এই বৈঠকে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রিজিওনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজা কিশোর এবং আগরতলা এমবিবি এয়ারপোর্টের ডিরেক্টর কে সি মীনা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে স্থানের অভাবে কৈলাশহর বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, এই বিমানবন্দরটি চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি উঠেছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) একটি ৬ সদস্যের দল UDAN আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প (RCS)-এর অধীনে বিমানবন্দরটি দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে।

২০২৩ সালের আগস্টে ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এটিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব দেয়। সংস্কারের মধ্যে বিমানবন্দরের উত্তর অংশে ৭০০ মিটার জমি অধিগ্রহণ করে রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই বিমানবন্দরে কোনো নির্ধারিত বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা নেই।

কৈলাশহর এলাকা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। সারা বছর উনকোটিতে বহু পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে। এছাড়া, কাছেই সীমান্ত থাকায় অর্থনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে এই বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দরটি চালু হলে ত্রিপুরার পর্যটন শিল্প এবং সীমান্ত বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৈলাশহর বিমানবন্দর চালু হলে ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে, যা রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। বিশেষ করে পর্যটন খাত এবং সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাজ্য সরকার এবং এএআই উভয়েই দ্রুত এই বিমানবন্দরটি সচল করার বিষয়ে আশাবাদী।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy