কেরলের উপনির্বাচনে তৃণমূলের ভরসা নির্দল বিধায়ক পিভি আনবর, ১৯ জুন ভোটযুদ্ধ

নদিয়ার কালীগঞ্জের পর এবার কেরলের নিলাম্বুর বিধানসভা উপনির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে শাসকদলের হয়ে সারথী হচ্ছেন বিদায়ী বিধায়ক পিভি আনবর, যিনি সম্প্রতি নির্দলীয় থেকে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, এই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন মোহন জর্জ। আগামী ১৯ জুন এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

কালীঘাট থেকে কেরল, তৃণমূলের নতুন রণনীতি:

কলকাতা থেকে প্রায় ২ হাজার ১৭০ কিলোমিটার দূরে কেরলের নিলাম্বুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ঘটনাটি তৃণমূলের সর্বভারতীয় প্রসারের ইঙ্গিত বহন করছে। গত জানুয়ারি মাসেই নির্দল বিধায়ক আনবর ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিয়েছিলেন। দলে যোগদানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পেলেন।

এদিন নিজেদের সমাজমাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও অনুপ্রেরণাতেই কেরলের এই উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

পিভি আনবরের রাজনৈতিক জীবন:

কংগ্রেস-পন্থী পরিবারে জন্ম নেওয়া পিভি আনবর ছাত্রজীবন থেকেই কেরলে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদে সক্রিয় ছিলেন। ২০১১ সালে এরানাড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখেন, কিন্তু পরাজিত হন। ২০১৪ সালে ফের নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ওয়েনাড়ে দাঁড়িয়েও তিনি সফল হননি।

তবে ২০১৬ সালে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ-এর টিকিটে নিলাম্বুর থেকে লড়ে তিনি জয়ী হন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই একই কেন্দ্র থেকে পুনরায় জয়ী হয়ে নিজের আসন ধরে রাখেন আনবর।

সম্প্রতি এলডিএফ-এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দল ছাড়েন আনবর। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি ‘ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট অব কেরল’ নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। সেই কঠিন সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস তার পাশে দাঁড়ায়। এরপর আনবর নিজের দলকেই ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। এখন নিজের জেতা আসনেই তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে তিনি পুনরায় ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন।

Sources

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy