
পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে ফের চাঞ্চল্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের মধ্যে ২৫ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র দেড় সপ্তাহ বাকি, অথচ সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা আসেনি। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে—কবে মিলবে সেই ২৫% বকেয়া ডিএ?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আর চাপ
গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএর অন্তত ২৫ শতাংশ দ্রুত মিটিয়ে দিতে হবে। সূত্র অনুযায়ী, এই পরিমাণ টাকা মেটাতে রাজ্যের প্রাথমিক খরচ দাঁড়াবে প্রায় ₹১০,৫০০ কোটি।
রাজ্যের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা
সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি জুন মাসে তিন দফায় ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে প্রথম দুই দফায় ৪,০০০ কোটি এবং তৃতীয় দফায় আরও ৩,৫০০ কোটি টাকা—সব মিলিয়ে প্রায় ₹৭,৫০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এই বিপুল ঋণের অন্যতম উদ্দেশ্যই হলো বকেয়া ডিএ পরিশোধ।
ইউনিটি ফোরামের অভিযোগ ও দাবি
ডিএ মামলা সংক্রান্ত সংগঠন ইউনিটি ফোরাম-এর আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার জানিয়েছেন, “বর্তমানে কেন্দ্রীয় কর্মীরা যেখানে ৫৫% হারে ডিএ পাচ্ছেন, রাজ্য সেখানে বঞ্চিত। আমরা সুপ্রিম কোর্টে সমস্ত বৈষম্যের তথ্য পেশ করেছি। রাজ্য সরকার বাধ্য ৫৫% হারে বর্তমান ডিএ দিতেও।”
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কৌশল
ভবিষ্যতের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, রাজ্য সরকার কোনও সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ কাটছাঁট করতে চাইছে না বলেও জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জোর দিয়ে অন্যান্য প্রকল্পে রাশ টানা হতে পারে বলে একাংশের ধারণা।
প্রশ্ন এখন একটাই:
বকেয়া ডিএ কি সময়মতো মিলবে?
সরকারি ঘোষণা এখনও অনুপস্থিত, কিন্তু অর্থনৈতিক তৎপরতা ও আদালতের চাপের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের আশা—দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবার হয়তো হবেই।