চলতি বছরে রাশিয়ার তেল রপ্তানির প্রায় পুরোটাই হয়েছে চীন ও ভারতে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যালেকজান্ডার নোভাক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমাদেশগুলো। তারপর ইউরোপ থেকে তেল রপ্তানি সরাতে থাকে রাশিয়া। নজর দেয় এশিয়ায়। বর্তমানে রাশিয়ার তেলের অন্যতম ক্রেতা চীন ও ভারত।
জ্বালানিখাতে দায়িত্বে থাকা নোভাক এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে বলেন, রাশিয়া সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পেরেছে। ইউরোপকে বাদ দিয়ে এখন চীন ও ভারতে তেল রপ্তানি করা হয়েছে। দেশটির ক্রুড রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই যায় ভারত ও চীনে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এরপর নিষেধাজ্ঞারকবলে পরে রাশিয়া। তবে এই নিষেধাজ্ঞার আগেই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্ব দেয় রাশিয়া।
রুশ উপপ্রধান মন্ত্রী বলেন, ইউরোপে রাশিয়ার ক্রুড অয়েল রপ্তানি ৪০-৪৫ শতাংশ থেকে কমে ৪-৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
নোভাক বলেন, বর্তমানে রাশিয়ার বাণিজ্যের বড় অংশীদার চীন। রাশিয়া থেকে চীনে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতেও রপ্তানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এদিকে লোহিত সাগরে ফের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। বাণিজ্যিক জাহাজটি পাকিস্তানের দিকে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এই হামলা চালানো হয়।
সম্প্রতি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘোষণা দেয় হুথি বিদ্রোহীরা। বিশেষ করে ইসরায়েলগামী জাহাজে। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যকর না করা পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স