
উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের কলেজগুলিতে এখনও স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছিল। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, ইউজিসির (University Grants Commission) গাইডলাইন মেনে শীঘ্রই রাজ্যে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে ঠিক কোন তারিখ থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, সে বিষয়ে তিনি কোনো নির্দিষ্ট ঘোষণা করেননি।
সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক বিজেপি বিধায়ক। তার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, গত বছর অনলাইন পোর্টাল চালু হয়েছিল ১৯ জুন। এবার শিক্ষাবর্ষ এখনও শুরু হয়নি বলেই পোর্টাল চালু হয়নি। তবে ভর্তি প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন যে, ইউজিসির নিয়ম মাফিক সময়মতোই অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
রাজ্যের বাইরের কলেজে ভিড়: মেধাবী শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছেন?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেহেতু রাজ্যের সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য অভিন্ন ভর্তির পোর্টাল এখনও খোলেনি, তাই অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রাজ্যের বাইরের কলেজে চলে যাচ্ছেন। উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করা অনেক পড়ুয়াই এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন যে, ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হয়নি। গত বছর ১৯ জুন ভর্তির পোর্টাল খুলেছিল, আর এবার তার আগেই তা শুরু হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারও তিনি একই কথা পুনর্ব্যক্ত করে ‘খুব শীঘ্রই’ প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছেন, তবে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা থেকে বিরত থেকেছেন।
জানা গেছে, গত বছর অভিন্ন ভর্তির পোর্টালে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া চলেছিল নভেম্বর মাস পর্যন্ত। এর জেরে সিলেবাস শেষ না হওয়া এবং সেমিস্টার পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাই এবার শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন, ভর্তির প্রক্রিয়া যাতে মসৃণভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে জোর দেওয়া উচিত।
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও, নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কবে নাগাদ এই বহু প্রতীক্ষিত ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং অভিন্ন পোর্টাল শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা স্বস্তি নিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।