যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআইকে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা বলে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনাতে দেয়া পৃথক ভাষণে এফবিআই ও মার্কিন বিচার দফতরের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি অরক্ষিত অবস্থায় নিজের কাছে রেখে দেয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপরই বিচার দফতর ও এফবিআইকে টার্গেট করলেন ট্রাম্প।
সংবাদমাদ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে যে তিনি স্পর্শকাতর বিভিন্ন সরকারি নথি নিয়ে হেলাফেলা করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া তিনি এ ঘটনার তদন্তেও বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘হাস্যকর’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। উল্টো তিনি তার পেছনে লেগে থাকায় মার্কিন বিচার দফতর এবং কেন্দ্রীয় দফতরকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্প বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত এফবিআই ও বিচার দফতরের এসব অভিযোগ ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপের’ সামিল।
২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। এখন পর্যন্ত অন্য রিপাবলিকান প্রার্থীর থেকে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। তবে তিনি নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেয়ার পর একের পর এক আইনি লড়াইয়ে জটিলতায় জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। তিনিই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার অপরাধের মামলা করছে।
ট্রাম্প যদিও স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনায় শনিবার ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভাষণ দেন। সেসময় ট্রাম্প বলেন, বন্দুক তাক করা এফবিআই এজেন্টরা আমার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তারা প্রতারণা করছে, তারা প্রতারক, দুর্নীতিবাজ। এসব অপরাধীদের কোনোভাবেই পুরস্কৃত করা যাবেনা, তাদের হারাতে হবেই।
বাইডেন সরকার তাকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছে বলেও ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই অভিযোগকে তিনি ‘দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ধাপ্পাবাজি’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এসব অভিযোগ একেবারেই ‘পরিহাস’। পাশাপাশি তিনি তার সভায় যোগ দেয়া মার্কিনিদের ‘দেশপ্রেমী’ বলে প্রশংসা করেন। অশুভ শক্তি এখন দেশ চালাচ্ছে।
নিজের ক্ষমতাকালকে সবচেয়ে সফল সময় বলে দাবী করে ট্রাম্প বলেন, আমরা বর্তমানের ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক শক্তির মুখোমুখি দাঁড়াবো। যে কাজ শুরু করেছি তা শেষ করবো। সেসময় মানুষজন ‘ইউএসএ, ইউএসএ’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। ট্রাম্প বলেন, আমি কখনই নতি স্বীকার করবো না, পিছু হটবো না। যারা আমার পেছনে লেগেছে তারা হচ্ছে, মার্ক্সবাদী, কম্যুনিস্ট ও কট্টরপন্থী পরিবেশবাদী। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খুলে দিলে চায়।