গত শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে খেলার সময় বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত একটি কুয়োতে পড়ে যায় রাহুল শাহু নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশু। মূক ও বধির ওই শিশুটি ৮০ ফুট গভীর কুয়োর যে অংশে সে আটকা পড়ে তাও ছিল অন্তত ৬০ ফুট গভীর। ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকর্মীরা যোগ দিলেও তাকে উদ্ধার করতে সময় লেগে যায় ১১০ ঘণ্টার মতো। কাজ করেছেন ৫ শতাধিক উদ্ধারকর্মী, যোগ দিয়েছিল সেনাবাহিনীও।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের ছত্তিশগড়ের জাঙ্গির-চম্পা জেলায়। বিশাল এ কর্মযজ্ঞের সফল সমাপ্তি হয়েছে মঙ্গলবার রাতে ওই শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের মাধ্যমে।
ঘটনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ খেলার সময় কুয়োর মধ্যে পড়ে যায় রাহুল। তাকে উদ্ধারে একে একে জাতীয় দুর্যোগ উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ ৫ শতাধিক লোক যোগ দেয়। ৫০টি অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে চলে উদ্ধারকাজ। যার মধ্যে ছিল ড্রিলিং মেশিন, ট্রান্সপোর্টিং ট্রাক ইত্যাদি।
উদ্ধার কাজের বিষয়ে বলা হয়, ওই শিশু যেখানে পড়েছিল সেই কুয়ো থেকে পাশে আরও একটি ৭০ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়। পাশাপাশি সেই গর্তের সঙ্গে ১৫ ফুটের একটি টানেল খুঁড়ে যোগ করে দেওয়া হয়। অন্ধকার কুয়োর মধ্যে শিশুটি বেঁচে আছে কিনা তা শিশুটির শ্বাস নেওয়ার আঁচ করতে পারনে উদ্ধারকর্মীরা। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে ১১০ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধারের পর ১১টা ৫৬ মিনিটে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এ বিষয়ে এক টুইটে বলেন, সবার প্রার্থনা, নিরলস প্রচেষ্টা এবং একাগ্রতার কারণে, রাহুল শাহুকে নিরাপদে কুয়োর ভেতর থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি সে দ্রুতই এ ধকল কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে বিলাশপুর কালেক্টর জিতেন্দর শুকলা জানিয়েছেন, তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।