
মধ্যপ্রাচ্যের রাতের আকাশ আবারও প্রকম্পিত হলো তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়। শনিবার মধ্যরাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান, যা তাদের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) নিশ্চিত করেছে। আইআরজিসি জানিয়েছে, এই হামলা ইসরায়েলের সামরিক কেন্দ্র এবং বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
আইআরজিসি এক বিবৃতিতে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছে, “নির্ভুল এবং স্মার্ট প্রযুক্তির সমন্বয়ে ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করা ইসরায়েলের মিলিটারি সেন্টার এবং বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।” তারা আরও দাবি করেছে, ইসরায়েলের যে সামরিক শিল্প কেন্দ্রগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক উপকরণ তৈরি করা হয়, সেগুলোও তাদের নিশানায় ছিল।
আইআরজিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক রিপোর্ট, স্যাটেলাইটের ছবি এবং নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে আঘাত হেনেছে। এই হামলা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আক্রমণাত্মক উপায়ে চালানো হয়েছে, যেখানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সব শাখা সমন্বয় করেছে বলে তারা উল্লেখ করেছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে ইরান ইসরায়েলকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছে। আইআরজিসি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলার মূল বার্তা হলো— ইরানের নিরাপত্তা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি ‘রেডলাইন’। অর্থাৎ, ইরানের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না এবং এর ওপর যেকোনো আঘাতের তীব্র জবাব দেওয়া হবে।
সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল। ইরানের এই সুনির্দিষ্ট এবং ‘নির্ভুল’ হামলার দাবি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার এই নতুন পর্ব আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এখন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।