ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি খুব শীঘ্রই আলোচনা হবে, আশাবাদী মার্কিন কর্মকর্তারা

মার্কিন কর্মকর্তারা আশাবাদী যে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি “কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই” হতে পারে। সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাব দেয়, যা কিয়েভ মেনে নিয়েছে। ওয়াশিংটন ও ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়াকে এটি মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি এবং তিনি শর্তের একটি তালিকা তুলে ধরে এই প্রস্তাব নিয়ে “গুরুতর প্রশ্ন” তুলেছেন।

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার সম্ভাবনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ, যিনি সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, জানিয়েছেন, “আমি মনে করি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আসন্ন আলোচনা খুবই ইতিবাচক হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প আশাবাদী যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোনো চুক্তি হতে পারে।”

ইউক্রেনের অবস্থান

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য যুদ্ধবিরতিতে বিলম্ব করার অভিযোগ করেছেন। রাশিয়া ইউক্রেনের নয়টি অঞ্চলে ৯০টি ইরানি তৈরি শাহেদ ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বিলম্ব করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি মস্কোর ওপর চাপ আরও বাড়ানোর পক্ষে। কার্নি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে গিয়ে যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে বৈঠক করবেন।

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও “সমঝোতা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট দিকগুলো” নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে রাশিয়া এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বিশ্ববাসীর নজর এখন ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের দিকে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কতটা সম্ভবপর হবে, তা নির্ভর করছে রাশিয়ার অবস্থান ও পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy