দুমা টিভি’ চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে শীর্ষ স্ট্রিমিং সেবা ইউটিউব। রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের অধিবেশন প্রচার করতো চ্যানেলটি।
শনিবারের এক বার্তায় ইউটিউব বলেছে, দুমা চ্যানেলটি ইউটিউবের ‘নীতিমালা লঙ্ঘন করায়’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইউটিউবের এই পদক্ষেপে খেপেছেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। স্ট্রিমিং সেবাটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন তারা।
ইউটিউব এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেড দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়ার যোগাযোগ পর্যবেক্ষক সংস্থা রসকমনাডজোরের চাপের মুখে আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। দুমা চ্যানেল ব্লক হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতেও দেরি করেননি সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
“দেখে মনে হচ্ছে, ইউটিউব নিজেই নিজের সমনে স্বাক্ষর করেছে। কনটেন্ট বাঁচান, রাশিয়ার প্ল্যাটফর্মে পাঠিয়ে দিন এবং তারাতারি করুন,” মেসেজিং সেবা টেলিগ্রামে এই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তবে, ইতোমধ্যেই দুমা চ্যানেল ফিরিয়ে আনতে গুগলকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রসকমনাডজোর।
“আমেরিকান আইটি কোম্পানিটি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা শক্তির পরিচালিত তথ্য যুদ্ধে রাশিয়া-বিরোধী অবস্থানের সঙ্গেই জুড়ে আছে,” বলেছে রসকমনাডজোর।
অন্যদিকে, রয়টার্সকে এক ইমেইলের মাধ্যমে গুগল বলেছে, সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর আরোপিত সকল বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“আমরা যদি দেখি যে একটা অ্যাকাউন্ট আমাদের সেবার নীতিমালা লঙ্ঘন করছে, তবে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেই। যে কোনো আপডেট ও পরিবর্তনের ওপর আমাদের দল কাছ থেকে নজর রাখছে।”
তবে, দুমা প্রেসিডেন্ট ভায়াচেস্লাভ ভলোদিনের মতে, দুমা চ্যানেলের ওপর ইউটিউবের নিষেধাজ্ঞা ওয়াশিংটন যে বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করছে, তারই প্রমাণ।
“তথ্য প্রচারের বেলায় যুক্তরাষ্ট্র একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা এটা হতে দিতে পারি না,” টেলিগ্রামে বলেছেন ভলোদিন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে সামরিক হামলা শুরু করার পর নিজ দেশের ভূ-খণ্ডে সামাজিক মাধ্যম টুইটার এবং মেটার মালিকানাধীন ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।
এর আগে মেসেজিং অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’ও নিষিদ্ধ করেছিল রাশিয়া। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে তুলে নেওয়া হয় সেই নিষেধাজ্ঞা। আর এখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপিয়ান মিত্রদের অবরোধ-নিষেধাজ্ঞার মুখে যোগাযোগর মাধ্যমে হিসেবে সেই টেলিগ্রাম অ্যাপের ওপরই নির্ভর করছেন দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।