
নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড সফরে নিজেদের ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অভিযান শুরু করতে চলেছে ভারতীয় দল। লিডসে আজ থেকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। এই সিরিজ শুরুর আগেই ভারতীয় শিবিরে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে: রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই মহারথীকে ছাড়া টিম ইন্ডিয়া ‘থ্রি-লায়ন্স’-এর বিরুদ্ধে কতটা সফল হবে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর পেতে সময় লাগবে, তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, আসন্ন সিরিজে ভারতীয় দল নিশ্চিতভাবে বিরাট কোহলিকে ‘মিস’ করবে।
স্টোকসের উপলব্ধি: কোহলির ‘লড়াকু মানসিকতা’র অভাব
সিরিজ শুরুর ঠিক আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের পক্ষ থেকে অধিনায়ক বেন স্টোকসের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে স্টোকস অকপটে স্বীকার করেছেন, বিরাট কোহলির লড়াকু মানসিকতা এবং জয়ের খিদে ভারতীয় দল ভীষণভাবে অনুভব করবে। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ভারতীয় দল বিরাট কোহলির যে বিষয়টা আসন্ন সিরিজে সবচেয়ে বেশি মিস করবে, সেটা হলো ওর লড়াকু মানসিকতা, ওর জয়ের খিদে। ১৮ নম্বর জার্সি পরে ভারতীয় দলের কাউকে আর দেখা যাবে না ভেবেই কেমন লাগছে।”
গত মাসে লাল-বলের ক্রিকেট থেকে আচমকা অবসরের ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি। ৩০টি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক কোহলির এই সিদ্ধান্তে স্টোকস নিজেও বেশ হতাশ। ইংরেজ অধিনায়ক আরও স্পষ্ট করেছেন যে, কোহলির অবসরের পর তাঁদের মধ্যে মেসেজে কথাও হয়েছে। স্টোকস জানান, “আমি ওকে মেসেজ করেছিলাম। বলেছি যে তোমার বিরুদ্ধে আর খেলব না ভেবে অবাক লাগছে। কারণ আমি বিরাটের বিরুদ্ধে মাঠে নামার বিষয়টা উপভোগ করতাম। আমরা দু’জনেই আসলে দু’জনের বিরুদ্ধে খেলতে ভালোবাসি।”
ইংল্যান্ডে কোহলির শেষ নেতৃত্ব এবং অসমাপ্ত সিরিজ
উল্লেখ্য, শেষবার ভারতীয় দল যখন ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল, তখন অধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং বিরাট কোহলিই। ২০২১-২২ মরশুমের সেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারতীয় দল একসময় ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপে ভারতীয় দলকে দেশে ফিরতে হয়েছিল। এরপর পরের বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত অন্তিম টেস্ট জিতে ইংরেজরা সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল (২-২)। সে সময় অবশ্য কোহলি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোয় শেষ টেস্টে ভারতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা।
এবার নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে ইংলিশ কন্ডিশনে নিজেদের প্রমাণ করার বড় চ্যালেঞ্জ। কোহলির লড়াকু মানসিকতার শূন্যতা ভারতীয় দল কীভাবে পূরণ করে, তা দেখতেই এখন ক্রিকেট বিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।