
আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কেদারনাথে এক ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৭ জন তীর্থযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরবেলা গৌরিকুণ্ড ও ত্রিযুগীনারায়ণের মাঝে গভীর জঙ্গলে ভেঙে পড়ে আরিয়ান এভিয়েশন কোম্পানির একটি কপ্টার। খারাপ আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার কারণ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে NDRF ও SDRF।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ ৭ জন যাত্রী ও পাইলটকে নিয়ে কপ্টারটি কেদারনাথ ধামের কাছ থেকে গুপ্তকাশীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে নামতে শুরু করে এবং ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গৌরিকুণ্ড ও ত্রিযুগীনারায়ণের মধ্যবর্তী গভীর জঙ্গলে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের মধ্যে এক শিশুও ছিল বলে জানা গেছে। যাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন।
দুর্ঘটনাস্থল গভীর জঙ্গলে হওয়ায় উদ্ধারকারী দলগুলির পৌঁছতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। পায়ে হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা, যারা জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন, তারাই প্রথম হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান এবং প্রশাসনকে খবর দেন।
উল্লেখ্য, গত ২রা মে থেকে কেদারনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে এটি পঞ্চম দুর্ঘটনা। এর আগে গত ১৭ই মে উত্তরাখণ্ডে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জরুরি অবতরণ করেছিল। গত ৭ই জুন চারধাম যাওয়ার পথে রুদ্রপ্রয়াগে তীর্থযাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার ক্র্যাশ ল্যান্ড করে, যেখানে ৫ জন যাত্রী ছিলেন। একের পর এক এই ধরনের দুর্ঘটনা তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।