যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখলের হুমকি দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার তিনি এমন হুমকি দেওয়ার পর এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আবারও গাজা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তার দাবি, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলই গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। গাজা দখল করতে তাদের কোনো সেনার প্রয়োজন হবে না।
সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথে’ ট্রাম্প লিখেছেন, “যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজা উপত্যকাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দেবে।” গাজাবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ট্রাম্প দাবি করেন, অনেকেই সেখান থেকে উন্নত জায়গায় চলে গেছে। যেখানে তারা ভালো আছে। নতুন করে যারা যাবে তারাও ‘খুশি, নিরাপদ এবং মুক্ত’ থাকতে পারবেন।
গাজাকে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহরে পরিণত করা হবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা ডেভেলপমেন্ট দলের সঙ্গে কাজ করছে এবং ধীরগতি ও সতর্কতার সাথে গাজাকে পুনর্গঠন শুরু করবে। যেটি হবে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন শহর।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনাকে প্রয়োজন হবে না। মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাই থাকবে।”
এদিকে ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সেখানকার মানুষ। এক ফিলিস্তিনি নারী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা গাজাতেই থাকবেন এবং গাজাতেই মরবেন। তিনি বলেন, “গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা এখানে থাকব এবং গাজা ভূখণ্ডে, জন্মভূমিতে মরব। আমরা দেড় বছরের যুদ্ধ, মৃত্যু ও ধ্বংস মোকাবেলা করেছি। এরপরও আমরা এখানে রয়েছি। তাহলে আমরা কীভাবে এ ধরনের প্রস্তাবে রাজি হতে পারি?”
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজার সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। টানা ১৫ মাসের যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি জাতিগত নিধনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন করছেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি