আপনার সন্তানের কাছে কীভাবে একজন ভাল পিতা-মাতা হয়ে উঠবেন? রইল তার কিছু টিপস্

১. সন্তানের আচরণের উপর গুরুত্ব দিন-
প্রথমেই গুরুত্ব দিন সন্তানের আচরণের উপর। প্রত্যেক বাবা-মায়ের প্রাথমিক কাজ হল সন্তানের আচরণকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে সঠিক পথে পরিচালনা করা। কোন জায়গায় কীভাবে আচরণ করছে তা লক্ষ্য করার পাশাপাশি, কোন জায়গায় কী আচরণ করা উচিত তা শেখানো অত্যন্ত প্রয়োজন। সন্তানের উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন সন্তানদের কাজের প্রতি উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন।

২. আপনার সন্তান যে কাজে বেশি পারদর্শি তাকে সেই কাজে বেশি উৎসাহিত করুন-
আবার, কোনও ভাল কাজ করলে ‘চমৎকার’ বলার পরিবর্তে তার ‘বুদ্ধি’-কে বাহবা দিন। তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন এবং একজন মানুষ হিসেবে সর্বক্ষেত্রে তার গুরুত্ব তুলে ধরুন। সাফল্য-ব্যর্থতার টানাপোড়েনের মাঝে আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কঠিন পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে শেখান।

৩. ভাল-মন্দ দিকগুলি বোঝান সর্বদা সত্য কথা তুলে ধরুন-
কারণ, জীবন কোনও রূপকথার গল্প নয়। ঘাত-প্রতিঘাত, ভাল-মন্দ ইত্যাদির মিলিত রূপ জীবন। তাই, সন্তানকে ভালোর পাশাপাশি মন্দ দিকের সঙ্গেও পরিচয় করান। ভাল-মন্দকে নিয়ে বেড়ে ওঠাই সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা। তাই, শিশুদের থেকে মিথ্যা এবং খারাপ কিছু লুকিয়ে না রেখে, তাদের সেগুলি বলুন ও বোঝানোর চেষ্টা করুন। সকলে নির্দিষ্ট নিয়মে আবদ্ধ থাকুন পরিবারের সকলেই নির্দিষ্ট নিয়মে আবদ্ধ থাকুন।

৪. যে নিয়ম আপনার সন্তানের জন্য তৈরি-
সেই নিয়ম সঠিকভাবে আপনারাও মেনে চলুন। সন্তানকে নিয়ম মেনে চলতে বলে, নিজেরা নিয়মের বাইরে চলবেন না। এতে সন্তানের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হতে পারে। আপনারাও একই নিয়ম মেনে চললে সন্তানেরা আপনাকে অনুসরণ করবে এবং আপনাদের প্রতি সন্তানের ভালবাসা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। আপনার বাচ্চা মঞ্চে উঠতে ভয় পায়?

৫. সমস্যা সমাধানে রইল কিছু উপায়-
সন্তানের উপর নিজের কর্তৃত্ব ফলাবেন না সন্তানের উপর নিজের জোর বা কর্তৃত্ব ফলাবেন না। যখনই আপনি সন্তানের উপর কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করবেন, তখনই আপনার সন্তান আপনাকে ভয় পাবে এবং আপনার থেকে দূরে সরতে থাকবে। তাই, নিজের জোর খাটানো বা কর্তৃত্বের পরিবর্তে বন্ধুর মতো মিশতে শুরু করুন এবং তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। স্বাধীনতার ভারসাম্যতা বজায় রাখুন সন্তানকে দেওয়া স্বাধীনতার ভারসাম্যতা বজায় রাখুন। সুস্থ বিকাশের ক্ষেত্রে মানানসই স্বাধীনতার পাশাপাশি লক্ষ্য রাখবেন যাতে সন্তান খারাপ পথে পরিচালিত না হয়।

৬. স্নেহ, ভালবাসার পাশাপাশি তাদের শাসনও করতে হবে-
বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন সন্তানের সামনে কখনোই কারুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে, গালিগালাজ বা ঝগড়া থেকে দূরে থাকুন। কারণ, সন্তানের সামনে আপনি যেমন আচরণ করবেন, সেও কিন্তু ঠিক তাই শিখবে। এতে, সন্তানের ভালর পরিবর্তে খারাপ বেশি হবে। পরিবারের পরিবেশ ঠিক রাখুন সন্তানকে ভালবাসার প্রকৃত অর্থ শেখাতে হলে নিজেদের পরিবারের পরিবেশকে ঠিক রাখতে হবে।

৭. পাশাপাশি, বাবা-মায়ের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখাতে হবে-
এর ফলে, সন্তানের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হবে। আপনার সন্তান কি খুব একদমই শৃঙ্খলাবদ্ধ নয়? সন্তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে রইল কিছু টিপস্ সমালোচনা করবেন না সন্তানের সামনে কখনোই অন্য কারুর সমালোচনা করবেন না। এতে, অন্যের প্রতি আপনার সন্তানের মনে খারাপ দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম নিতে পারে। সমালোচনার পরিবর্তে সেই ব্যক্তির ভাল দিকটি তুলে ধরুন।

৮. সন্তানের পরামর্শ গ্রহণ করুন পারিবারিক-
যেকোনও কাজে পরিবারের সকলের পাশাপাশি নিজের সন্তানেরও পরামর্শ গ্রহণ করুন। এতে, সন্তান খুশি হবে। হাতে কাজের দায়িত্ব তুলে দিন এবং সঠিকভাবে কাজকে পরিচালনা করতে পরামর্শ দিন। দেখবেন, আপনার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা ও মান্যতা বাড়বে।

৯. সন্তানের ভুল শুধরে দিন-
সন্তান কোনও ভুল করলে তাকে বড় শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তা শুধরে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আঙুল দিয়ে ভুলের জায়গাটা ধরিয়ে দিন এবং তার ফলে কী ক্ষতি হয়েছে তাও বুঝিয়ে দিন। চেষ্টা করুন বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর, যাতে সে সহজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy