মানুষের মুখ দেখে মনের কথা বুঝতে পারেন আপনি? কোন কথাটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে, চট করে ধরে ফেলার সহজাত ক্ষমতা আছে? খুব ঘোরালো প্যাঁচালো মিথ্যে বুঝতে না পারলেও সোজাসাপটা মিথ্যে ধরে ফেলতে অবশ্য অনেকেই পারেন, তার জন্য লাই ডিটেকটর হয়ে জন্মানোর দরকার পড়ে না। কিন্তু যদি সম্পর্কে থেকে কেউ ক্রমাগত মিথ্যে বলতে থাকেন? তখন সেটা ধরা একটু কঠিন বই কী! আসলে আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি, তখন আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হয় তাঁকে বিশ্বাস করা। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু মিথ্যে আমাদের চোখ এড়িয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই এ সব মিথ্যেও ধরে ফেলা সম্ভব। শুধু একটু সতর্ক থাকতে হবে আর খোলা রাখতে হবে চোখ কান।
একের পর এক প্রশ্ন করুন
পাকা মিথ্যেবাদীরা নিজেদের জমি শক্ত রেখে তবে মিথ্যে বলেন এবং তার জন্য যথেষ্ট হোমওয়ার্কও করেন। ফলে হঠাৎ করে এঁদের ধরা মুশকিল কারণ এঁরা নিজেদের কথার পিছনে একরাশ যুক্তি দেবেন। এই যুক্তিজালে পা জড়াবেন না। আপনার যদি সন্দেহ হয়, তা হলে পর পর প্রশ্ন করতে থাকুন। চেষ্টা করুন একের পর এক প্রশ্নবাণে ওঁকে বিধ্বস্ত করে দিতে। বানানো ছক ভেঙে দিতে পারলেই ওঁর লুকোনো দুর্বলতাগুলো ধরে ফেলতে পারবেন।
খেয়াল করুন বডি ল্যাঙ্গোয়েজ
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা সত্যি কথা বলেন, তাঁরা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন। তাঁদের কথাবার্তার মধ্যে কোনও বানানোভাব বা নাটুকেভাব সাধারণত থাকে না। অন্য দিকে মিথ্যে কথা যাঁরা বলেন তাঁরা পরিস্থিতিটাকে অহেতুক নাটকীয় করে তুলতে চান। হাত পা নেড়ে, নানারকম মুখভঙ্গি করে তাঁরা ব্যাপারটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চান।
ওঁদের আগের বলা কথা মনে রাখুন
যাঁরা সারাক্ষণ মিথ্যে বলতে অভ্যস্ত, তাঁরা নিজেদের আগের বলা কথা মনে রাখেন না। ফলে অনেক কিছুই পরে বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটু সতর্ক থাকলে ওঁদের কথার অসঙ্গতিগুলো আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন। এবং এই পথেই ওঁদের পালটা প্রশ্ন করলে ওঁরা হকচকিয়ে যেতে পারেন।
কথা ঘোরানোর প্রবণতা
যদি মনে হয় আপনার প্রেমিক আপনার কাছে সব কিছু সত্যি করে বলছেন না, তা হলে সরাসরি এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। উনি যদি কথা বলতে না চান বা প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে একরকম নিশ্চিত হতে পারেন উনি সত্যিই কিছু গোপন করছেন বা অসত্য বলছেন। উনি রেগে যেতে পারেন বা অসুস্থ হওয়ার ভানও করতে পারেন। আপনি নিজে বিক্ষিপ্ত হবেন না, প্রসঙ্গে থাকুন।