আড়ালে থেকে আবেদন! সন্দেশখালির মামলায় ‘ওয়ান্টেড’ শাহজাহান কে নিয়ে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি

সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (ইডি) আধিকারিকদের উপর হামলায় তদন্ত নিয়েও এবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। তদন্ত হলেও কেস ডাইরি না নিয়ে আদালতে হাজির পুলিশকে। আদালতের প্রশ্ন, এতদিন ধরে কী করেছে পুলিশ? সেটা কেস ডাইরি দেখেই বোঝা সম্ভব। কাল কেস ডাইরি আনতে হবে পুলিশকে।

গত দশদিন ধরে বেপাত্তা সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহান। শাহজাহানের আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “আপনার মক্কেল কেন ধরা দিচ্ছেন না? এতক্ষন আপনি এজিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এতক্ষণ আমি ভেবেছি আপনি রাজ্যের জুনিয়র আইনজীবী। আপনি এজিকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন কেন? এজি আপনাকে চুপ করতে বলার পরেও আপনি তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।”

ইডি আইনজীবী এস ভি রাজু জানান, শঙ্কর আঢ্য ও শেখ শাজাহানের নাম পাওয়া যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সূত্রে। রেশন দুর্নীতির আর্থিক নয়ছয়ের তদন্ত করতে গিয়ে তাঁদের নাম উঠে আসে। সেখানে তল্লাশিতে গেলে হামলা হয় ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে। উল্টে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে FIR হয়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন।

ইডি আধিকারিকদের হামলার ঘটনায় তদন্ত ও গ্রেফতারির সংখ্যা নিয়েও অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। আদালতে এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত প্রশ্ন করে, “এখন কে তদন্ত করছে?” এজি জবাব দেন, “লোকাল পুলিশ করছে ডিএসপি-র নেতৃত্বে।” ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা নিয়ে হতবাক আদালত জানতে চায়, “তিন হাজার অভিযুক্ত, সেখানে মাত্র চার জন গ্রেফতার করা হয়েছে?” পালটা এজি জানান, তিন হাজার নয়। ৮০০ থেকে ১০০০ লোক, ইডি-র অভিযোগ অনুযায়ী।

বিচারপতি জানতে চান, ৩০৭ ধারা কেনও যোগ হয়নি? এখনও কেন ন্যাজাট থানার পলিশকে তদন্তে রাখা হয়েছে? এতদিনেও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। ইডি-র অভিযোগ, ঘটনার সময় শাজাহান বাড়িতে ছিল। সব ঘটনার পরে পুলিশ কি সেই বাড়িতে ঢুকে ছিল? আহত ইডি অফিসাররা বলেছেন, তাদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। তাই ৩০৭ দেওয়া হয় নি।

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলায় তদন্তের গতিবিধি নিয়ে আদালতের অসন্তোষ স্পষ্ট। তদন্ত দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy