বুধবার পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে দুরন্ত ৩-০ গোলের জয় পেয়ে আইএসএল শিল্ড জয়ের দিকে একধাপ এগিয়ে গেল মোহনবাগান। মাঠে শক্তিশালী দলের উপস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও, মোহনবাগান ফুটবলাররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। যে ফুটবল খেলছেন তারা, সেটি তাঁদের ১০০ শতাংশ না হলেও, আইএসএলের মান অনুযায়ী যথেষ্ট ভালো। যদিও আধা ফিট স্টুয়ার্ট কিংবা অফ ফর্মে থাকা ম্যাকলারেনও দলকে সাহায্য করছেন, তবুও দলের খেলা মুগ্ধ করছে সমর্থকদের। মোহনবাগানকে হারানোর একমাত্র উপায় বর্তমানে যদি কিছু থাকে, তা হলে তা শুধু মোহনবাগানই হতে পারে।
পঞ্জাব এফসি ম্যাচে মোহনবাগান ছিল নানা চোটের কারণে শক্তিহীন। সাহাল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, আপুইয়া ছিলেন না, এবং অনিরুদ্ধ থাপা এবং টম আলদ্রেডও খেলতে পারেননি। কিন্তু এই সব বাধা সত্ত্বেও মোহনবাগান জয়লাভ করেছে। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করে জয় নিশ্চিত করেছে। মোহনবাগান সচিন দেবাশিস দত্ত ইস্টবেঙ্গলকে একহাত নিতে ছাড়েননি।
মোহনবাগান এখন আইএসএলে সরাসরি শিরোপা জেতার জন্য প্রস্তুত। তাদের সামনে এখনও ৪টি ম্যাচ বাকি, যার মধ্যে ৭ পয়েন্ট পেলেই তারা শিরোপা জয় করবে। যদি গোয়া বা জামশেদপুর কোনও ম্যাচে পয়েন্ট হারায়, তাহলে মোহনবাগান এক বা দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে।
মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দেন, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের জন্য খোঁচা দিয়ে বলছেন, ‘আমরা রেফারি কিনতে পারিনি, তাই আমাদের জেনুইন পেনাল্টি পায়নি। কিন্তু রেফারি না কিনেও যে তিন গোলে জেতা যায়, সেটা আজ দেখিয়ে দিলাম। এবং তার কারণেই আমরা এক নম্বরে রয়েছি।’ ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান বর্তমানে ১০ নম্বরে, ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে।
মোহনবাগানের ডিফেন্ডার দীপেন্দু বিশ্বাসের পারফরম্যান্সেও প্রশংসা জানালেন বাগান সচিব। তিনি বলেন, ‘দীপেন্দু অসাধারণ খেলেছে। সাতটা ম্যাচে পাঁচটা ক্লিনশিট রেখেছে। আমাদের সেকন্ড লাইন আপ কতটা ভালো, সেটাই প্রমাণ হল।’ মোহনবাগান সতর্কভাবে বাংলার ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে আরও উন্নত দল গঠনের চেষ্টা করছে।
এভাবে দুর্দান্ত জয় এবং পরবর্তী চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে, মোহনবাগান আইএসএল শিল্ড জয়ের একধাপ কাছাকাছি পৌঁছেছে।