
আকাশপথে ফের ত্রাস! দিল্লিগামী একটি বিমানে বোমা রাখা আছে – এই মারাত্মক হুমকির পরই পাইলটের বিচক্ষণতায় রিয়াধে জরুরি অবতরণ করল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক বিমান। বার্মিংহ্যাম থেকে নয়াদিল্লিগামী এআই-১১৪ নম্বর ফ্লাইটটি যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পথ পরিবর্তন করে সৌদি আরবে নামে। রবিবার এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ এই খবর নিশ্চিত করেছে।
সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২১শে জুন বার্মিংহ্যাম থেকে নয়াদিল্লিগামী ওই বিমানটিতে বোমা রাখার হুমকি পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি বিমানের গতিপথ রিয়াধের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে নিরাপদে অবতরণের পর বিমানটিতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। তবে, পরীক্ষায় কিছু পাওয়া গেছে কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রিয়াধ বিমানবন্দরটি নিকটবর্তী হওয়ায় এবং সেখানে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত সেখানে বিমানটি নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিমানটি রিয়াধ থেকে দিল্লির উদ্দেশে পুনরায় রওনা দেবে।
আহমেদাবাদের বিভীষিকার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন উদ্বেগ
প্রসঙ্গত, গত ১২ই জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দেওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটি বিমানবন্দর সংলগ্ন মেঘানিনগর এলাকায় ভেঙে পড়ার ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ এখনও টাটকা। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪১ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছিল, এবং এর পাশাপাশি একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ায় আরও ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই টাটা গ্রুপের এই সংস্থা একাধিক আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এমনিতে এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস মিলিয়ে দৈনিক প্রায় ১,১০০টি বিমান চলাচল করে এবং ১.৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী পরিবহণ করে। সাম্প্রতিক এই বোমা হামলার হুমকি, বিশেষ করে আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার অল্প দিনের মধ্যে, যাত্রী নিরাপত্তা এবং বিমান পরিষেবা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। যাত্রীদের মধ্যে এখন এক মিশ্র অনুভূতি, একদিকে যেমন পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্তে স্বস্তি, তেমনই অন্যদিকে আকাশপথে নিরাপত্তা নিয়ে চাপা ভয়।