কথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়াতে একটি নারী স্কোয়াডের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। এ ছাড়া আমেরিকার মাটিতে আক্রমণের পরিকল্পনার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার একটি আদালতে তিনি নারীদের সব দলকে প্রশিক্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেন। তবে, তিনি কখনও শিশুদের রিক্রুট করার চেষ্টা করেননি বলে দাবি করেন।
অ্যালিসন ফ্লুকে-ইকরেন (৪২) নামের এ নারী শতাধিক নারীকে সহিংসতার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। প্রশিক্ষণ নেওয়া ওই নারীদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুও ছিল। আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও নিউইয়র্ক পোস্ট এ খবর দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়—শিক্ষক থেকে আইএস নারী নেতা হয়ে ওঠা অ্যালিসন ফ্লুকে-ইকরেন ২০১১ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন। সিরিয়ায় যাওয়ার আগে লিবিয়াতে একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। অক্টোবরে তাঁর দণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং সর্বোচ্চে ২০ বছরের কারাদণ্ড পেতে পারেন তিনি।
অ্যালিসন ফ্লুকে-ইকরেন বায়োলজিতে পড়াশোনা করেছেন এবং স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তুরস্ক এবং লিবিয়ায় বসবাসের পর তিনি আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় যান।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইএসের তথাকথিত রাজধানী-খ্যাত সিরিয়ার রাক্কায় তিনি নারীদের নিয়ে গঠিত ব্যাটালিয়ন খাতিবা নুসাইবাহ’র নেতৃত্ব দিতেন। তাঁর প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল নারী ও শিশুদের অস্ত্রের ব্যবহার, একে-৪৭ রাইফেলস, গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শেখানো।