বলিউডের অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে তাঁর চেহারার আকার ও গড়ন নিয়ে কৈশোর থেকেই বিভিন্ন সময়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। একটা সময় অতিরিক্ত রোগা বা স্কিনি থাকার কারণে বহু মশকরার শিকার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যখন তাঁর মাঝে পরিবর্তন আসতে থাকে, শরীর কিছুটা ভারি হয়, তখনও বাড়তে থাকে নিন্দুকদের তির্যক মন্তব্য। এবার তাঁর নিতম্বের আকৃতি বৃদ্ধি নিয়ে ওঠা অস্ত্রোপচারের অভিযোগ নিয়ে খোলাখুলি জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী।
কৈশোরের সেই কঠিন অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অনন্যা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁকে তাঁর রোগা শরীর নিয়ে বহু কথা শুনতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তখন আমার ১৮-১৯ বছর বয়স। খুব রোগা ছিলাম আমি। সেটা নিয়েও মশকরা করা হত। লোকে আমাকে বলত, “আরে, তোমার পা দুটো মুরগির ঠ্যাং-এর মতো।” কেউ আবার বলত, “তোমার চেহারাটাই দেশলাই কাঠির মতো। তোমার তো স্তন বা নিতম্ব কোনোটাই নেই।” এই সব বহু শুনেছি।’
এবার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে অনন্যার চেহারাতেও স্বাভাবিক পরিবর্তন এসেছে, শরীর কিছুটা ভারি হয়েছে। আর তা নিয়ে এবার নতুন করে তির্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাকে। নিন্দুকরা বলছেন, অস্ত্রোপচার করে নাকি নিতম্বের আকৃতি বৃদ্ধি করেছেন অনন্যা পাণ্ডে। এই অভিযোগের জবাবে অনন্যা বলেছেন, ‘আমি স্বাভাবিকভাবেই বড় হচ্ছি। আমার চেহারাও ভারি হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু বলা হচ্ছে, আমি নাকি অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতম্বের আকার বৃদ্ধি করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মানুষ যা-ই করবে, দেখতে যেমনই লাগুক, কটাক্ষ শুনতেই হবে। কিছু সমালোচনা করবেই। বিশেষ করে নারীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা হবেই। পুরুষদের এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় বলে মনে হয় না।’ সমাজের বডি শেমিং এবং বিশেষ করে নারীদের প্রতি কঠোর সমালোচনামূলক মনোভাব নিয়ে তাঁর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
চেহারার পাশাপাশি, অভিনয়ের জন্যও প্রথম দিকে সমালোচনার শিকার হয়েছেন অনন্যা। তারকা-সন্তান হওয়ার কারণে বারবার নেপোটিজম ও তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকটি ছবি ও সিরিজে অভিনয় করার পর থেকে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা পেতে শুরু করেছেন তিনি। ‘খো গায়ে হাম খাঁহা’, ‘কল মি বে’ ও ‘কন্ট্রোল’-এর মতো সাম্প্রতিক কাজগুলিতে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে।
চেহারার পরিবর্তন নিয়ে ওঠা ভিত্তিহীন জল্পনা এবং বডি শেমিংয়ের বিরুদ্ধে অনন্যার এই অকপট জবাব অনেককেই স্পর্শ করেছে।
