
বলিউডের বিতর্কিত পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী এষা গুপ্ত। তাঁর দাবি, প্রকাশ্য শুটিং সেটেই সাজিদ খান তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং চরম বাজে ভাষায় গালাগালি করেছেন, যার জেরে তিনি ছবির কাজ মাঝপথেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই ঘটনা বলিউডে নতুন করে সাজিদ খানকে ঘিরে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন এষা গুপ্ত। তিনি জানান, সাজিদের সঙ্গে তাঁর বিবাদ এতটাই চরমে পৌঁছায় যে তা ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে চলে যায়। এষার স্পষ্ট বক্তব্য, “অনেক ঝগড়া হয়েছিল। সাজিদ খানের সঙ্গে আমার মোটেও সুসম্পর্ক নয়।” তিনি আরও যোগ করেন, “তারপরে আর কখনও আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হয়নি। লোকে আমাকে গালাগালি দেবে সেটা আমার মোটেই পছন্দ নয়। ভালো ব্যবহার করা তো খুব সাধারণ একটা বিষয়।”
জানা গেছে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে যায় যে সাজিদ খান অভিনেত্রীকে প্রকাশ্যে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেন। এষাও চুপ থাকেননি, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে শুটিং সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। সেই মুহূর্তে তিনি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে ওই ছবিতে আর কাজ করবেন না।
তবে এষার সেট ছাড়ার পর গল্পের মোড় ঘুরে যায়। অভিনেত্রী জানান, “আমি সেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে স্থির করেই ফেলেছিলাম আর এই ছবিতে কাজ করব না। কিন্তু প্রযোজক ফোন করে ক্ষমা চান।” আশ্চর্যজনকভাবে, প্রযোজকের পর সাজিদ খান নিজেও নাকি ফোন করে এষার কাছে তাঁর দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।
এই বিতর্কিত ঘটনা প্রসঙ্গে এষা গুপ্তর শেষ মন্তব্য ছিল, “কিছু মানুষ কথা বলার আগে ভাবেন না। নানা কারণে এদের মাথা গরম হয়ে থাকে। আমি আর এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই চাই না।”
উল্লেখ্য, সাজিদ খানের বিরুদ্ধে এর আগেও ‘মি টু’ আন্দোলনের সময় একাধিক মহিলা যৌন হেনস্থা এবং খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলেন, যা বলিউডে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এষা গুপ্তর এই নতুন অভিযোগ সেই পুরনো বিতর্ককে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এল।