
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল বাগ কমিটি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি এমন ৩৮১ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তিন আধিকারীকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যায় কিনা তা রিপোর্টে লেখা হয়েছে।
আদালতে বাগ কমিটির রিপোর্ট
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বাগ কমিটি। তাতে চঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৩৮১ জন পাস না করেই চাকরি পেয়েছে এসএসসিতে। এসএসসির তিন আধিকারীক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
মেধা তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই ৩৮১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। এসএসসির অফিস থেকেই পাঠানো হয়েছিল সুপারিশ পত্র। তাতে যুক্ত ছিলেন সৈমিত্র সরকার এবং শান্তি প্রসাদ সিনহা। ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোনও প্যানেলে ছিল না। এঁরা কেউ লিখিত পরীক্ষায় পাস করেননি এবং পার্সোলিটি টেস্টও দেননি। এসএসসির চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে সব সুপারিশ পত্র তুলে দেওয়া হত।
এফআইআরের দাবি
এসএসসির গ্রুপ সি নিয়োগে প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে শূন্যপদের তথ্য নিয়ে বেআইনিভাবে সেই তথ্য কাজে লাগিয়েছেন শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং সৌমিত্র সরকার। সুপারিশ পত্র ছাপানোর কাজ করেছিলেন সমরজিৎ আচার্য। জালিয়াতি এবং প্রতারণার কারণের এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪১৭, ৪৬৫এ, ৪৬৮ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
ওএমআর শিট নষ্টের অভিযোগ
বাগ কমিিটর রিপোর্টে আর একটি গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে যে, যাতে কেউ ব়্যাঙ্ক দেখতে না পায় সেকারণে এমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল। এবং সেটা করার জন্য এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রোগ্রাম অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভুয়ো নোট শিট তৈরি করেছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক কুমার সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং সৌমিত্র সরকার।