প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার গত ২২ বছর ধরে ভুগছিলেন কিডনির সমস্যায়। গত ১৪ জুন তিনি মূলত কিডনির সমস্যা নিয়েই ভর্তি হন এসএসকেএম এর উডবার্নে। কিডনির সমস্যা ছাড়াও বর্ষীয়ান এই পরিচালকের ছিল ফুসফুসে সংক্রমণ। এমনকি তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাবার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে চিকিৎসকদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। বর্ষীয়ান এই পরিচালকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
তরুণ মজুমদার (জন্ম: ১৯৩১) একজন ভারতীয় বাঙালি চিত্রপরিচালক। তার সংগ্রহে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৯০ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।
উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯) তরুণ মজুমদারের প্রথম পরিচালিত ছবি।তার পরিচালিত প্রথম জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি কাঁচের স্বর্গ (১৯৬২)। এরপরে পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা — এই সব ছবি সমালোচক মহলে বহুল প্রশংসিত হয়। তার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০) বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে।