প্রতিবারের ন্যায় এবারেও হতে যাচ্ছে ২১ শে জুলাই সভা। আগামীকাল ধর্মতলায় তৃমমূলের এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবং দলের অন্যান্য সদস্যরাও। আগামীকালের এই সভার জন্য বানানো হয়েছে মঞ্চ। কিন্তু সভার আগেই উদ্বেগজনক খবর শোনাল হাওয়া দফতর।
জানাগেছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতা, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায়। এই সংবাদে উদ্বেগ বেড়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির। আগামীকালের সভা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ মে (বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল) ৩৪ বছরের বাম শাসনে ধস নামিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের পর আলাদা করে কোনও বিজয় উৎসব করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেদিন বেলা গড়াতেই জনাদেশ স্পষ্ট হয়ে যায়, আর এরপরই দৃশ্যত আপ্লুত মমতা জানিয়ে দেন, জয়ের উদযাপন হবে ২১ জুলাই শহিদ তর্পণের দিন। তবে এই ২১ জুলাইয়ের ইতিহাসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সে অর্থ কোনও সম্পর্ক নেই। বা বলা ভাল, তৃণমূলের জন্মের আগেই ঘটে গিয়েছে ‘একুশে জুলাই’। বরং বলা যেতে পারে, একুশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কী ঘটেছিল ২১ জুলাই? কেন এই দিনটিকে তৃণমূল ও কংগ্রেস ‘শহিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে?
একুশের মঞ্চই সাক্ষী থেকেছে তৃণমূলে ১৯৯৩ সালের পর থেকে প্রতিবছর এই দিন শহিদ দিসব হিসেবেই পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দলের আগামী দিনের লক্ষ্যপূরণের বার্তা দিয়ে থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার রাজনীতিতে এই দিনটিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবই দেখে রাজনৈতিক মহল।