মাঝেমধ্যেই বলিউডের পাওয়ার কাপল অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কেল খান্না তাদের সুখী পরিবারের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল এই তারকা দম্পতির ছেলে আরভের জন্মদিন।
বহুদিন ধরেই পরিবার, বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকেন আরভ। সেই কথাও উঠে এসেছে টুইঙ্কেলের পোস্টে। একইসঙ্গে ছেলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন অক্ষয় নিজেও।
আরভের জন্য অক্ষয় কুমারের মিষ্টি জন্মদিনের শুভেচ্ছা
জঙ্গল সাফারির সময় টুইঙ্কেল এবং আরভের সঙ্গে তোলা নিজের একটি ছবি শেয়ার করে সেই পোস্টের ক্যাপশনে অক্ষয় লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন আরভ! তোমাকে দেখে আমি প্রতিদিন গর্ব করি, কারণ তোমার দয়ালু স্বভাব। তুমি সবাইকে ভালোবাসায় মুড়ে রাখো। তুমি আমার জীবনে কতটা আনন্দ এনেছো, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এই বছরটা তোমার জীবনে ততটাই সুখ ও আনন্দ নিয়ে আসুক, যা তুমি তোমার আশাপাশে থাকা মানুষদের দাও। তোমাকে খুব ভালোবাসি (হৃদয় ও হাসির ইমোজি)।’
ইনস্টাগ্রামে আরভের সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করে টুইঙ্কেল জানান, ছেলে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছে বলে তিনি কতটা মিস করেন! অভিনেত্রী থেকে লেখক হয়ে ওঠা টুইঙ্কেলের শুভেচ্ছা বার্তা, ‘শুভ জন্মদিন আরভ (হার্ট ইমোজি)। যখন তুমি আমাকে বারবার বলতে যে, তুমি স্বাধীনভাবে থাকতে চাও, আমার শুনে মনে হত, তুমি আমাকে ছেড়ে গেলেই, আমার জীবন অন্ধকারে ভরে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম, যে তোমার হৃদয়ে থাকে, সে কখনো ছেড়ে যায় না। হয়তো দ্রাঘিমাংশ পরিবর্তন হয়। তোমার প্রতিটা ফোন কলে আমার পৃথিবী আলোকিত হয়ে ওঠে। প্রতিটা ম্যাসেজে, তা সেটা নোংরা জামাকাপড় নিয়েও কথা হোক না কেন!’
এখন কী করছেন আরভ?
এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানিয়েছিলেন, এত বিলাসিতা থাকা সত্ত্বেও তাদের ছেলে বরাবরই চেয়েছিলেন একা থাকতে। আর তিনি ও টুইঙ্কেল, আরভের সেই ইচ্ছেকে সম্মানও করেন। ১৫ বছর বয়সে বিদেশে পড়াশোনার জন্য বাড়ি ছেড়েছিলেন আরভ। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, নিজের সব কাজ এক হাতে করতে পছন্দ করেন তাদের ছেলে। এমনকী, বিলাসবহুল জীবন, দামি জামাকাপড়ের কোনো শখও নেই।
গর্বিত বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে আরভ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিল। ওর বরাবরই পড়াশোনার প্রতি টান। আর একা থাকতে চাইত। আমি প্রথমদিকে চাইতাম না ওকে ছাড়তে। তবে না বলতে পারিনি। কারণ আমিও তো ১৪ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে ছিলাম। সে সব কাজ একা করে…নিজের জামাকাপড় ধোওয়া, খুব ভালো রাঁধুনি, বাসনপত্রও একাই মাজে। থ্রিফটি নামে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড স্টোরে যায় পোশাক কিনতে। সে একদম অপচয়ে বিশ্বাস করে না।’