হিজবুল্লা কে নিঃশেষ করতে, লেবাননে স্থল হামলা শুরু ইসরায়েলের

লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। যদিও হামলাটি সীমিত এবং নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল হামলার ব্যাপারে বলেছে, কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে ‘নির্দিষ্ট এবং সীমিত’ স্থল অভিযান শুরু করেছে সেনারা। ব্লু লাইনের কাছে অবস্থিত হিজবুল্লাহর এই অবকাঠামোগুলো ইসরায়েলি শহরগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে লেবাননে স্থল হামলার অনুমোদন দেয় ইসরায়েলর নিরাপত্তা পরিষদ। ওই সময় জানানো হয়, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

লেবাননে স্থল হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময় ধারণা করা হচ্ছিল, স্থল সেনাদের লেবাননে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে এমন তীব্র হামলা চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই স্থল হামলা হবে ‘সীমিত, স্থানীয় এবং হিজবুল্লাহর নির্দিষ্ট অবস্থান’ লক্ষ করে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ লেবাননে সীমিত এবং স্বল্পমেয়াদী স্থল হামলার অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের উত্তর লেবানন করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সংবাদমাধ্যমটিতে দাবি করা হয়েছে।

লেবাননে ইসরায়েলের নতুন স্থল অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দান অ্যারোস’। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি চালানো হচ্ছে স্থল, আকাশ এবং কামান বাহিনীর সমন্বয়ে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, স্থল হামলার আগে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক কামান হামলা চালিয়েছে যেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যান এবং তারা সেসব অবকাঠামো ধ্বংস করে দিতে পারে। তবে যদি হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাহলে ইসরায়েলের এই ‘সীমিত’ স্থল অভিযান ধরে রাখা কষ্ট হবে। ইসরায়েল যদি লেবাননে শক্ত অবস্থান গড়তে চায় তাহলে তাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy