হাতের কাছে ডাক্তার নেই, ছোটোখাটো সমস্যা হলে মুক্তি পাবেন কিভাবে? জেনেনিন

শরীর থাকলে তা খারাপ হবেই। কিন্তু আপাতত যেহেতু বাড়ি থেকে বেরনোর উপায় নেই, এবং হাতের কাছে ওষুধপত্র অমিল, তাই জটিল সমস্যা না হলে নিজেকেই তা সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই জেনে নিন আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আপনার ঠিক কী কী করা উচিত।

হটব্যাগ আর বরফ – এই দু’টি জিনিস রাখুন হাতের কাছে। পিরিয়ডের সময় যাঁদের পেটে ব্যথা হয়, তাঁরা গরম সেঁক দিয়ে আরাম পান। এখন হাতের কাছে ডাক্তার পাবেন না, যাঁরা আছেন, তাঁরাও হুট করে ব্যথার ওষুধ খেতে বারণ করছেন। তাই গরম সেঁক নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোথাও পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে বরফ রুমালে বেঁধে ব্যথার জায়গায় বেঁধে রাখুন। ব্যথা কমতে আরম্ভ করলে গরম আর ঠান্ডা সেঁক দেবেন।

পোড়া, ছ্যাঁকা লাগা সামলাতে আপনার প্রথম অস্ত্র হচ্ছে ঠান্ডা জল। তার পর বরফ ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না জ্বালা একেবারে কমে যাচ্ছে। জ্বালা কমার অর্থ অচ্ছে পোড়াটা ত্বকের গভীরে গিয়ে পৌঁছতে পারেনি। তার পর সিলভার নাইট্রেট মলম লাগিয়ে নিন। এত করেও যদি দগদগে ফোসকা পড়ে, তা হলে একবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিন।

কেটে গিয়ে খুব রক্ত পড়ছে? টুর্নিকেট বাঁধুন শক্ত করে। প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে রক্ত বন্ধ করা। যদি টুর্নিকেট না থাকে, তা হলে রোদে শুকিয়ে নেওয়া পরিষ্কার কাচা কাপড়ের টুকরো বেঁধে নিন কাটার জায়গায়। রক্ত বন্ধ হতে বাধ্য। তার পর অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে ড্রেসিং করে পরিষ্কার করে রাখুন। দাঁত বা কানের ভিতরে ব্যথা হলে কিন্তু রিস্ক না নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলাই ভালো।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy